নিউ জিল্যান্ডের মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে উদযাপন করার অভিযোগে এক কর্মীকে বরখাস্ত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিরাপত্তা কোম্পানি ট্রান্সগার্ড। তাকে দেশেও ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে তার জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ট্রান্সগার্ড কর্তৃপক্ষের বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।
১৫ মার্চ (শুক্রবার) ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের সন্দেহভাজন হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু হয় নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদ। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক ডিনস এভিনিউয়ের আল নুর মসজিদসহ লিনউডের আরেকটি মসজিদে তার তাণ্ডবের বলি হয় অর্ধশত মানুষ। ট্রান্সগার্ড দাবি করেছে, এই নৃশংস ঘটনায় তাদের এক কর্মী এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যাতে তাকে উল্লসিত মনে হয়েছে।
কোম্পানির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কয়েকদিন ধরে ট্রান্সগার্ডের এক কর্মী নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার ঘটনাকে উদযাপন করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে উসকানিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছিলেন।’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেগ ওয়ার্ড বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অযথার্থ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করি। সে কারণে এ ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তাকে।’
ট্রান্সগার্ডের ওই কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে আমিরাত সরকার। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, জাতীয়তা, পদবি প্রকাশ করেনি তারা। এ ব্যাপারে আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া না পাওয়ার কথা জানিয়েছে রয়টার্স।