নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় নিহতদের সবার পরিচয় প্রকাশ করেছে দেশটির পুলিশ। এর আগে অল্প কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছিলো। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
১৫ মার্চ (শুক্রবার) ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের সন্দেহভাজন হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু হয় নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদ। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক ডিনস এভিনিউয়ের আল নুর মসজিদসহ লিনউডের আরেকটি মসজিদে তার তাণ্ডবের বলি হয় অর্ধশত মানুষ।
পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেন, আমি বলতে চাই যে কিছুক্ষণ আগে নিহত ৫০ জনের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের সবার আত্মীয়কে অবগতও করা হয়েছে।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদেরকে মৃত্যুর কারণ ও নিহত ব্যক্তির পরিচয়ের বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হতে হবে। তার আগে তো আমরা মরদেহ হস্তান্তর করতে পারব না। তবে আমরা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রীতিগুলোর বিষয়ে ওয়াকিবহাল। কাজ ঠিক রেখে যত দ্রুত সম্ভব মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করছি আমরা।’
নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নূর মসজিদ ও শহরটির বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলোর কয়েকটি স্থানে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মানুষ ফুল রেখে যাচ্ছেন। শত শত ফুলের সঙ্গে সেখানে জ্বালানো হচ্ছে মোমবাতি। নিহতদের স্মরণে ঝোলানো রয়েছে বেলুন। বৃষ্টিপাতের মধ্যেও সমবেদনা জানাতে আসা মানুষেরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকছেন শ্রদ্ধা জানাতে। একসঙ্গে দাঁড়িয়েই ভিজেছেন তারা নীরবে। সমবেদনা জানিয়ে লেখা চিরকুটগুলোর একটিতে কার্ডবোর্ড কেটে বানানো ভালোবাসা চিহ্নের বিষয়ে লেখা হয়েছে, ‘আমরা আপনাদের স্মরণে ৫০টি হৃদয় বানিয়েছি। ৫০টি জীবনের জন্য ৫০টি হৃদয়চিহ্ন।’