যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিবর্তিত দিনক্ষণের বিষয়টিকে হাউস অব কমন্স আইন পাসের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ব্রেক্সিট চুক্তি পাস হলে আগামী ২২ মে এবং চুক্তি পাস না হলে আগামী ১২ এপ্রিল যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে। বুধবার (২৭ মার্চ) সংশোধনীটি পাস হয়েছে ৪৪১-১০৫ ভোটে।
২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের কথা ছিল যুক্তরাজ্যের। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে তৈরি হয় ব্রেক্সিট চুক্তি। কিন্তু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে দুই দফায় তা হাউস অব কমন্সে পাস করাতে ব্যর্থ হন। তৃতীয় দফায় চুক্তিটি সংসদে তোলার আগে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের তারিখ পরিবর্তন করাতে সমর্থ হন মে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ব্রেক্সিটের দিনক্ষণ পরিবর্তনে যে সমঝোতায় উপ্নিয় হয়েছিলেন তাতে চুক্তি পাস হলে আগামী ২২ মে আর চুক্তি পাস না হলে আগামী ১২ এপ্রিল ব্রেক্সিট কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।
ইইউয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতা হলেও এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের আইনি স্বীকৃতি ছিল না। ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন উইথড্রয়াল অ্যাক্টে’ সংশোধনী আনা দরকার ছিল আন্তর্জাতিক বিধি ও যুক্তরাজ্যে স্বীকৃত আইনের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য। তাই হাউস অব কমন্সে এই সংশোধনীর বিষয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। ৪৪১-১০৫ ভোটে পাস হয় প্রস্তাবটি। যুক্তরাজ্যের বিরোধী এমপিরাও সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সময় বাড়িয়ে নেওয়ার এই সুযোগ এবারই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে যুক্তরাজ্য যদি নতুন কোনও প্রস্তাব নিয়ে ইইউয়ের কাছে যায় তাহলে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সময়সীমা আবারও বৃদ্ধি করা হতে পারে।