বাড়ি থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া যুক্তরাজ্যের সাবেক নাগরিক শামীমা বেগমের সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছে তার স্বামী ও জিহাদি যোদ্ধা ইয়াগো রিয়েদিজক। সে বলেছে, তৃতীয় সন্তানের মৃত্যু হওয়ায় তারা এখন দুঃস্বপ্নের মধ্যে বাস করছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি সান এ খবর জানিয়েছে।
২৭ বছরের রিয়েদিজক সিরিয়ার কুর্দি পরিচালিত কারাগারে আটক রয়েছে। সে জানায়, লন্ডনের সাবেক স্কুলছাত্রী শামীমা একজন ‘আদর্শ স্ত্রী’। তিন সন্তানের মৃত্যুতে তাদের মন ভেঙে গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে রিয়েদিজক বলে, সবচেয়ে খারাপ যা হওয়ার তা ঘটেছে। শামীমা একা, মন ভাঙা ও তিন সন্তান হারিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমা নাগরিকত্ব বাতিল করেছেন জন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায়। সে এখন ইরাক সীমান্তের কাছে একটি শরণার্থী শিবিরে রয়েছে।
আইএস দম্পতির প্রথম দুই সন্তান ছিল এক ছেলে ও এক মেয়ে। ইউফ্রেতাস উপত্যকায় আইএসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধের সময় অপুষ্ঠিতে মৃত্যু হয় তাদের। সম্প্রতি ১৯ বছরের শামীমা জারাহ নামের তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেয়। সুস্থ হয়ে জন্ম নিলেও ৮ মার্চ নিউমোনিয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
২০১৫ সালে পূর্ব লন্ডনের বাড়ি থেকে ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দিতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় শামীমা। ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সে ২৩ বছরের রিয়েদিজককে বিয়ে করে।
রিয়েদিজক জানায়, সিরিয়া যাওয়ার পরে তারা আইএস খিলাফতের নিপীড়ন, ভীতু ও ধর্ষকামী বাস্তবতা দেখতে পায়।
বিদেশি গুপ্তচর হিসেবে তাকে নির্যাতন করা হয় বলেও দাবি করে রিয়েদিজক।