নেপালের তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে হেলিকপ্টারে ধাক্কা খেয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। স্থানীয় সময় রবিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এবিসি নিউজ।
এ দুর্ঘটনায় দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। তারা হচ্ছেন সামিট এয়ারের কো-পাইলট এস ধুঙ্গানা এবং পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রাম বাহাদুর খাদকা। আর কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে মারা যান পুলিশের এএসআই রুদ্র বাহাদুর শ্রেষ্ঠা।
রবিবার সকালে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে উড্ডয়নের সময় হেলিকপ্টারের পার্কিং এলাকায় ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয় প্লেনটি। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এটি দুটি হেলিকপ্টারে ধাক্কা খায়। তবে প্লেনটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগের কর্মকর্তা রাজকুমার ছেত্রী জানান, হেলিকপ্টারকে আঘাত করে বিমানটি ছিটকে পড়ে। রানওয়েতে থাকা নুড়িপাথরের কারণেই অভ্যন্তরীণ রুটে চলা সামিট এয়ারের প্লেনটি পিছলে যায় বলে জানা গেছে।
নেপালের তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দরটি ওই এলাকার নাম অনুযায়ী লুকলা বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এটি নেপালের পূর্বাঞ্চলে সাগরমাথা অঞ্চলের লুকলা শহরে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের
হিস্ট্রি টেলিভিশনে ২০১০ সালে প্রচারিত পৃথিবীর ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরগুলো নিয়ে এক প্রতিবেদনে এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
প্রথম মাউন্ট এভারেস্ট বিজয়ী এবং এই বিমানবন্দরের নির্মাণকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৮ সালে স্যার এডমন্ড হিলারি এরং শেরপা তেনজিং নোরগের নামানুসারে এই বিমানবন্দরের নতুন নামকরণ করা হয় তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দর। এটির জনপ্রিয়তার কারণ হচ্ছে, লুকলা থেকে অধিকাংশ পর্বতারোহী মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে যায়। দিনের বেলা ভালো আবহাওয়ায় লুকলা থেকে কাঠমান্ডুতে প্রতিদিন বিমান চলাচল করে। যদিও স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত, তারপরও লুকলাতে নিয়মিত বৃষ্টি হয়, যখন কাঠমান্ডু রৌদ্রোজ্জ্বল থাকে। ঝড়ো বাতাস, ঘন মেঘ এবং দৃষ্টিসীমা কমার কারণে ফ্লাইট বিলম্ব, এমনকি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে।