উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও নিরাপত্তা পুরোপুরি নির্ভর করছে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের ওপর। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন কিম। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিন।রুশ দ্বীপে দুই নেতার বৈঠকে উঠে আসে কোরীয় উপদ্বীপ পরিস্থিতি ও পরমাণু পরীক্ষা।
কিমের বক্তব্য স্পষ্টই যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের দিকে ইঙ্গিত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের দুইটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও উত্তর কোরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পরিবর্তন না আসায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
উত্তর কোরীয় নেতা বলেন, চলতি বছর শেষ পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করবেন যে যুক্তরাষ্ট্র আরও নমনীয় আচরণ করে কি না। তিনি বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। যেকোনও সময় এটি আগের অবস্তানে ফিরে যেতে পারে এবং সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পরই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বৈঠক শেষে পুতিনকে উত্তর কোরিয়ায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কিম। এই বৈঠক নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।