দেশ থেকে পালিয়ে কিউবাতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনার করছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবিকে রসিকতা বলে নাকচ করে দিয়েছেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মিস্টার পম্পেও’র এটি একটি রসিকতা।’
নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিলেও প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকার অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন গুইদো। মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় আকস্মিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন গুইদো। ভিডিওতে তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন সামরিক সদস্যকেও দেখা যায়। ইতোমধ্যে এই অভ্যূত্থানে সমর্থন ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে মাদুরো বলেন, সরকার জয়ীবেশেই থাকবে এবং তার দল ‘লৌহশক্তির’ ন্যায় দেশকে সুরক্ষা দিয়ে যাবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছিলেন, ভেনেজুয়েলা থেকে কিউবায় পালিয়ে যাবেন মাদুরো। জবাবে মাদুরো বলেন, মাইক পম্পেও বলেছেন যে কিউবাতে পালিয়ে যেতে মাদুরো একটি বিমান প্রস্তুত রাখলেও রাশিয়ার বারণের কারণে তিনি দেশ ত্যাগ করেননি। প্রকৃতপক্ষে মিস্টার পম্পেও’র এটি একটি রসিকতা।’