ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যেই অনির্ধারিত এক সফরে ইরাকের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বার্লিনের এক যাত্রা বাতিল করে মঙ্গলবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে চার ঘণ্টার এক সফরে যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইরাকের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পম্পেও সাংবাদিকদের জানান তার এই সফরের সাথে ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার সম্পর্ক রয়েছে।
গত বছর ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘোষণার পর থেকেই ওয়াশিংটন-তেহরান সম্পর্কের উত্তেজনা নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। ট্রাম্পের ঘোষণার বর্ষপূর্তির আগে এই উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌছেছে। ইরানকে হুঁশিয়ারি জানাতে একটি বিমানবাহী ক্যারিয়ার ও একটি বোমারু টাস্কফোর্স মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে বা কোনও মিত্র যদি হামলার শিকার হয় তাহলে ইরানকে ‘অপ্রতিরোধ্য শক্তির’ মুখোমুখি হতে হবে।
এমন প্রেক্ষাপটে ইরাকে অনির্ধারিত সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহাদী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আলি আলহাকিম এবং প্রেসিডেন্ট বাহরাম সলিহ’র সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের পম্পেও বলেন, ‘সেখানকার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা আশ্বস্ত করতে চেয়েছি যে আমরা ইরাকের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তাদের পাশে আছি’। বিদুৎসহ জ্বালানি খাতে ইরানের ওপর বাগদাদের নির্ভরশীলতা কমানোর প্রয়োজন বলে ইরাকের নেতাদের জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।