সৌদি আরবের আভা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। ইয়েমেনে আগ্রাসন চালানো সৌদি সামরিক জোটের পক্ষ থেকে এ হামলার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এতে ২৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ হামলার বিস্তারিত জানা যায়নি। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এটি ছিল মূলত একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এর আগে রবিবার সৌদি আরবের আরেকটি বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করে হুথি বিদ্রোহীরা। ওই গোষ্ঠীর পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহ এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করে।
২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখলের পর সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বু মনসুর আল হাদিকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে হুথি বিদ্রোহীরা। তারপর থেকেই দেশের বাইরে থাকা হাদিকে ক্ষমতায় ফেরাতে ২০১৫ সালের জুনে ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।
সৌদি জোটের বিরুদ্ধে প্রতিঘাতের অংশ হিসেবে সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন প্রদেশে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। রবিবারের হামলার পর ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিজান প্রদেশের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে বেশ কিছু ড্রোন নিক্ষেপ করেছে তারা। বিমানবন্দরের বাংকার এবং স্টেশন লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়।
গত মাসের শেষদিকে পবিত্র নগরী মক্কা ও জেদ্দায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তা ধ্বংস করার দাবি করে সৌদি প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রায় একই সময় সৌদির নাজরান বিমানবন্দরে তিনবার হামলা চালানোর দাবি করে হুথি বিদ্রোহীরা। ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলছে, তারা সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩০০ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা অব্যাহত রাখবে।
সোমবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে হুথি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মুহাম্মাদ আবদুস সালাম বলেন, জাতিসংঘ সৌদি আরবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। সানার ওপর অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে তারা কিছুই করতে পারেনি। সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওপর অপরাধমূলক অবরোধ প্রত্যাহারে ব্যর্থ হয়েছে সৌদি সামরিক জোট। আগ্রাসনে জড়িত দেশগুলোর জানা দরকার, তাদের বিমানবন্দরগুলো আমাদের হামলার সক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।