হংকংয়ে চীনবিরোধী বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনকারীদের ওপর রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আন্দোলনকারীরাও প্লাস্টিকের বোতল ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে।
মূলত চীন ও তাইওয়ানে অপরাধী প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বিক্ষোভকারীদের মূল ক্ষোভ চীনের সঙ্গে এ ধরনের সমঝোতা নিয়ে। বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ মনে করছেন না হংকংয়ের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, বিলটি পাস হলে তা হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে।
চীন নিয়ন্ত্রিত ওই শহরের রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ছাতা দিয়ে পুলিশকে প্রতিহতের চেষ্টাও করেছেন তারা। টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। সহিংসতার পর সেখানে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স অবস্থান নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পিপার স্প্রে, টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে। কয়েকজনকে পুলিশ ধাওয়া করলে তাদের জন্য কয়েকজন দোকানে শাটার খুলে দেন।
আয়োজনকারী সংগঠন সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্টের দাবি, আন্দোলনে অন্তত ১০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ অযথাই সহিংসতা তৈরি করেছে।
২০১৮ সালের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বিলটি তৈরি করা হয়। তাইওয়ানে ছুটি কাটানোর সময় অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হংকংয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে হংকংয়ের বন্দিবিনিময়ের কোনও চুক্তি না থাকায় সেই ব্যক্তিকে এখন তাইপেতে বিচারের জন্য পাঠানো যাচ্ছে না। কিন্তু এখন তাইওয়ানও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন সেই খুনের মামলার আসামিকে ফেরত নিতে চায় না তারা। কেননা, এটি এমন এক উদাহরণ তৈরি করবে, যা চীন ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারে।
আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগই তরুণ। কালো পোশাকে এসে তারা পুলিশ ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নেয়। প্রথমে বৃষ্টির কারণে উপস্থিতিতে কিছুটা ভাটা পড়লেও কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে শুরু করে।
গণতন্ত্রপন্থী আইনপ্রণেতা ক্লডিও মো বলেন, আমরা বলেছিলাম আমব্রেলা আন্দোলনের পর পিছু হটে যাবো। এখন আমরা আবার চলে এসেছি।
২০১৮ সালের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বিলটি তৈরি করা হয়। তাইওয়ানে ছুটি কাটানোর সময় অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হংকংয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে হংকংয়ের বন্দিবিনিময়ের কোনও চুক্তি না থাকায় সেই ব্যক্তিকে এখন তাইপেতে বিচারের জন্য পাঠানো যাচ্ছে না। কিন্তু এখন তাইওয়ানও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন সেই খুনের মামলার আসামিকে ফেরত নিতে চায় না তারা। কেননা, এটি এমন এক উদাহরণ তৈরি করবে, যা চীন ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারে।