ভারতের গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় বায়ু আঘাত হানবে না বলে ধারণা করছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদরা জানান, বৃহস্পতিবার গুজরাট উপকূলে আঘাত আনার আশঙ্কা করা হলেও রাতে পথ পরিবর্তন করে আবারও সাগরের দিকে চলে গেছে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টা ভারী বাতাস ও সাগর উত্তাল থাকার কথা জানিয়েছেন তারা।
আরব সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ মঙ্গলবারই (১১ জুন) ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এটি তীব্র শক্তিশালী মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বায়ু। পোরবন্দরের কাছে ভেরাভেল, দিউয়ের মাঝামাঝি অঞ্চল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল পেরোবে। এই ঘূর্ণিঝড় ফণীর মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঝড়ের কবলে পড়তে পারে কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা, পোরবন্দর, রাজকোট, দিউ, গির সোমনাথ, আমরেলি ও ভাবনগর।
দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে গুজরাট সরকার। রাজ্যের বন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুজরাট এবং দমন দিউ মিলিয়ে মোট তিন লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মোট ৭০০টি কেন্দ্রে এই তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন।
ইতোমধ্যে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর ৫২টি ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইটে জানান, তিনি পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
৭০টি ট্রেন সূচি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোয় স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরও বন্ধ রাখা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া বাতিল করা হয়েছে সব ফ্লাইট। মুম্বাইয়েও ৪০০ ফ্লাইট সূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।