মধ্য আফ্রিকায় সম্প্রতি আবারও ইবোলা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মেডিকেল গবেষণা বিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ওয়েলকাম ট্রাস্টের পরিচালক ড. জেরেমি ফারার জানিয়েছেন, ২০১৩-১৬ সালের পর এবার নতুন করে মহামারির আকারে ইবোলা সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই মহামারি অবসানের কোনও লক্ষণ নেই।
মধ্য আফ্রিকার উত্তরাংশে কঙ্গোর উপত্যকায় প্রবাহিত ইবোলা নদী থেকে ইবোলা ভাইরাসের নামকরণ। সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। ২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তখন বেশি আক্রান্ত হয়েছিল গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া। ২০১৪ সালে কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কঙ্গোর উত্তর কিভু অঞ্চলে নতুন করে ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
জেরেমি ফারার জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গোতে প্রায় ১৪০০ মানুষ এরইমধ্যে ইবোলায় মারা গেছেন। উগান্ডায় প্রথমবারের মতো মারা গেছে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই ছড়িয়ে পড়া দুঃখজনক হলেও এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এরকম ঘটনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তার মতে, মহামরি ঠেকাতে এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘কঙ্গোর একার পক্ষে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা দুঃসাধ্য।’
গত বছরের আগস্ট থেকে আক্রান্ত ইবোলা রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই মৃত্যুবরণ করেছেন। এই রোগের মহামারির পর যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এর হার আরও বেড়ে গেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতার কারণে এই রোগের মোকাবিলা করা আরও কঠিন হয়ে গেছে।
চলতি বছর প্রায় ২০০ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ফেব্রুয়ারিতে ডক্টর উইদাউট বর্ডার্সও দুটি শহরে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়।