X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুরসির জানাজা ও দাফনেও কঠোর নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ স্ত্রীর

বিদেশ ডেস্ক
১৯ জুন ২০১৯, ১৬:১৮আপডেট : ১৯ জুন ২০১৯, ২৩:২৯
image

ক্ষমতাচ্যুত মিসরীয় প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির জানাজা ও দাফনের ক্ষেত্রেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী নাগলা মাহমুদ। মঙ্গলবার (১৮ জুন) প্রয়াত প্রেসিডেন্টের দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর এক টুইটার বার্তায় এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।

মুরসি
সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই মিসরীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন মুরসি। গত ৭ মে তিনি আদালতে নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, তার জীবন হুমকির মুখে। ১৭ জুন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ‘আদালতের এজলাসে হঠাৎ পড়ে গিয়ে’ মুরসির মৃত্যু হয়েছে।

স্ত্রী নাগলা তার টুইটে অভিযোগ করেন, মুরসিকে তার জন্ম শহর নীল ডেল্টায় দাফন করার অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়া মিসরীয় ইতিহাসের প্রথম প্রেসিডেন্টকে নিয়ে নাগলা লিখেছেন ‘শুধু পরিবারের সদস্যদের তার জানাজায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পূর্বাঞ্চলীয় কায়রোর নাসর শহরে মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।’

এর আগে মুরসির ছেলে আহমেদ ও আব্দুল্লাহ এবং তার আইনজীবী আব্দেল মোনেম আব্দেল মাকসুদ একই ধরনের অভিযোগ করেন। তবে প্রয়াত এ প্রেসিডেন্টের দাফন সম্পর্কে মিসরীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

২০১১ সালে গণঅভ্যুত্থানে হোসনি মোবারকের পতনের পর ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মুরসি। ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি দলের শীর্ষ নেতাসহ ৯ শতাধিক কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মুরসিকে রাখা হয় কারান্তরীণ।

/এফইউ/বিএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ