X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আফগান যুদ্ধের সাক্ষী দেওয়া জাদুঘরে নেই মার্কিন বিধ্বংসী অস্ত্র!

বিদেশ ডেস্ক
০১ জুলাই ২০১৯, ২০:৩০আপডেট : ০১ জুলাই ২০১৯, ২০:৩৬

সোভিয়েত আগ্রাসন থেকে শুরু করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধ, যুগ যুগ ধরে আফগানিস্তানে চলে আসছে সংঘাত-সহিংসতা। আর এর বলি হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। বিগত কয়েক দশকের যুদ্ধের সেই ভয়াবহতা উঠে এসেছিল দেশটির একটি জাদুঘরে। অর্গানাইজেশন ফর মাইন ক্লিয়ারেন্স অ্যান্ড আফগান রিহ্যাবিলিটেশনের জাদুঘরে দেশটিতে ব্যবহৃত সব যুদ্ধ সরঞ্জাম থাকলেও সেভাবে নেই মার্কিন বিধ্বংসী অস্ত্র।

আফগান যুদ্ধের সাক্ষী দেওয়া জাদুঘরে নেই মার্কিন বিধ্বংসী অস্ত্র!

২০০৪ সালে রাজধানী কাবুল থেকে তালেবানদের বিতাড়িত করার পর এই জাদুঘরটি খোলা হয়েছিল। সংক্ষেপে এটি ওমার নামেই পরিচিত। প্রতিবছর প্রায় এক হাজার দর্শনার্থী আসে এখানে। জাদুঘরটির সামনে ব্রিটিশ রাইফেল, আমেরিকান বোমা, ইতালীয় ও মিসরীয় স্থলমাইন এবং সোভিয়েত জেট বিমান প্রদর্শন করা হয়। সবগুলো অস্ত্রেই লেখা রয়েছে এফএফই বা ফ্রি ফ্রম এক্সপ্লোসিভ।

জাদুঘরের পরিচালক ফাজেল রহিম বলেন, আমরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলছি না। আমরা দেখাচ্ছি আফগানিস্তানে আসলে কি হচ্ছে।

তবে এই জাদুঘরে একটা জিনিসের অনুপস্থিতি রয়ে গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তান মার্কিন দখলদারিত্বের মধ্যে থাকলেও দেশটির তেমন কোনও অস্ত্র নেই এখানে। যুদ্ধের প্রথমদিকে ব্যবহৃত কিছু ক্লাস্টারবোমা প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জাদুঘরটির উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে।

আফগান যুদ্ধের সাক্ষী দেওয়া জাদুঘরে নেই মার্কিন বিধ্বংসী অস্ত্র!

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে এক হাজার ২২৮টি বোমাবর্ষণ করে। এতে নিহত হন অন্তত ৬০ জন বেসামরিক নাগরিক। অথচ জাদুঘরে একটি ছোট কাচের গ্লাসে কিছু মার্কিন অস্ত্র ছাড়া আর কিছু নেই। পাশেই রয়েছে ইতালীয় ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র ও রুশ রকেট গ্রেনেড।

জাদুঘরের মূল আকর্ষণ মাইন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্থলমাইন রয়েছে আফগানিস্তানে। দেশটির মাইন অ্যাকশন প্রোগ্রামের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির হাজার বর্গ মাইলজুড়ে স্থলমাইন, অ্যান্টি ট্যাংক মাইন, যুদ্ধের বিস্ফোরক ছড়িয়ে থাকা বস্তুগুলো ওই জাদুঘরে নেই। ১৯৮৯ সাল থেকে মাইন বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক। নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এক হাজার ৮০০ মাইলজুড়ে থাকা মাইন। যুগ যুগ ধরে পুঁতে থাকা এসব বিস্ফোরকের ক্ষত বয়ে বেড়াবে আফগানিস্তান।

জাদুঘরের ছাদে ঠাঁই পেয়েছে ইয়াক-৪০ সোভিয়েত বিমান। এটি এখন ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ওই বিমানের সিটে ১০০ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করে যাদের বেশিরভাগ শিশু । তাদের বোঝানো হয় যে, অবিস্ফোরিত অস্ত্র কতটা ভয়ঙ্কর।

/এমএইচ/এমপি/
সম্পর্কিত
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা