X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়েমেনে সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে আনার ঘোষণা আমিরাতের

বিদেশ ডেস্ক
০৮ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৯আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৯, ২১:৪১

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৮ জুলাই সোমবার আবু ধাবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন ঘোষণা দেন আমিরাতের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ইয়েমেনে সৌদি-আমিরাতি জোটের সামরিক আগ্রাসন শুরুর প্রায় চার বছর পর আমিরাতি বাহিনীর প্রস্থানের ঘোষণা দেশটির পরাজয় হিসেবেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা বলছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার তাগিদেই এমন কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের।

ইয়েমেনে সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে আনার ঘোষণা আমিরাতের এর আগে গত জুনের শেষ দিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেন থেকে বিপুল সংখ্যক সেনা প্রত্যাহার করেছে আমিরাত। পশ্চিমা কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ইয়েমেন থেকে সেনাদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয় আমিরাত।

রয়টার্সের ওই প্রতিবেদন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিলে শেষ পর্যন্ত সোমবার ইয়েমেনে সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে আনার কথা স্বীকার করলো আমিরাত।

ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর আগে সৌদি জোটের ধারণা ছিল, অল্প দিনের মধ্যেই তারা মধ্যপ্রাচ্যের এ দরিদ্র দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হবে। কিন্তু চার বছরেও নিজেদের লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় তারা। বরং ইয়েমেনে ব্যাপক প্রাণহানি ও মানবিক সংকটের ফলে তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এমন পরিস্থিতিতেই দেশটি থেকে সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় আমিরাত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়বে সামরিক জোটটির প্রধান শক্তি সৌদি আরব। তবে এ মাসের গোড়ার দিকে আমিরাতের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, তার দেশ সামরিক জোটের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইয়েমেন থেকে সামরিক উপস্থিতি শতভাগ প্রত্যাহার করা হবে না।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পালিয়ে যান হাদি। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নৃশংসভাবে হত্যার পর এই যুদ্ধের সমালোচনা তীব্র হতে থাকে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই, রয়টার্স।

/এমপি/
সম্পর্কিত
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
সর্বশেষ খবর
অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যাবে তিতাস
অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যাবে তিতাস
ছক্কায় মুশফিকের ‘আউট’ নিয়ে যা বললেন রনি
ছক্কায় মুশফিকের ‘আউট’ নিয়ে যা বললেন রনি
ফাইনালে ১১ মিনিট লড়াই, জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ
ফাইনালে ১১ মিনিট লড়াই, জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ
বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের
বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা