X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাই যথেষ্ট নয়: যুক্তরাষ্ট্রকে জাতিসংঘ দূত

বিদেশ ডেস্ক
১৯ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৪আপডেট : ১৯ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৬
image

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে যথেষ্ট মনে করছেন না জাতিসংঘের দূত ইয়াংহি লি।  এ সপ্তাহে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হলাইংসহ আরও তিন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইয়াংহি লি বলছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যায় সংশ্লিষ্ট সেনাসদস্যদের বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

ইয়াংহি লি

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা নিপীড়নকে জাতিগত নিধন বললেও গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি। তবে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা জোরালো হওয়ার পর মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। একই বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ঘৃণ্য জাতিগত নিধনযজ্ঞ আখ্যা দেন। কাছাকাছি সময়ে রাখাইনে নিধনযজ্ঞের হোতা আখ্যা দিয়ে মং মং সো নামের এক সেনাকর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।  ২০১৮ সালের অক্টোবরে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তিনজন সামরিক কর্মকর্তা ও দুইটি সেনা ব্রিগেডের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। সবশেষ গত মঙ্গলবার দেশটির সেনাবহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।

বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে লি বলেন, যে সেনাকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, ‘তারা কখনোই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে যায়নি…...আসুন আরো বাস্তববাদী হই।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের পদক্ষেপ যথাযথ আখ্যা দিয়ে অন্যান্য দেশকেও একই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে লি বলেছেন, সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং, উপ সেনা প্রধান সোয়ে উইন এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও এবং অং অং ছাড়াও রোহিঙ্গা নিপীড়ন বিষয়ে ২০১৮ সালে প্রকাশিত জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে অন্য যে দুইজন সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে তাদের সবাইকে গণহত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন বাঁচাতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখে।

/বিএ/
সম্পর্কিত
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
ন্যাটোর অংশীদার হতে আগ্রহী আর্জেন্টিনা
সর্বশেষ খবর
দোকান থেকেই বছরে ২ লাখ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় সম্ভব
দোকান থেকেই বছরে ২ লাখ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় সম্ভব
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অতীত ফিরিয়ে আনলেন শান্ত-রানারা
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অতীত ফিরিয়ে আনলেন শান্ত-রানারা
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ জেনে নিন
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ জেনে নিন
হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় যুবকের মরদেহ
হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় যুবকের মরদেহ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি