X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত মাগুর প্রজাতির মাছ ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ব্রজেশ উপাধ্যায়, যুক্তরাষ্ট্র
২৮ জুলাই ২০১৯, ১০:৫৫আপডেট : ২৮ জুলাই ২০১৯, ১৮:২৮

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা প্রায় ৩৫ হাজার কেজি মাছের ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা-এফএসআইএস। আমদানিকৃত এসব মাছের অবিক্রীত অংশ ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এফএসআইএস বলছে, পুনরায় পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপিত না হওয়া এসব মাছ যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির অযোগ্য। তবে এসব মাছের আমদানিকারক বাংলাদেশি-আমেরিকান পাইকারি বিক্রেতা জানিয়েছেন, মাগুর, বোয়াল, শিং, পাবদা নামে পরিচিত এসব মাছের বেশিরভাগই কোনও অভিযোগ ছাড়া ভোক্তারা কিনে নিয়েছেন। পড়ে থাকা বাকি মাছগুলো ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত মাগুর প্রজাতির মাছ ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রিমিয়াম ফুডস ইউএসএ নামে নিউ ইয়র্কভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে এসব মাছ যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করে। বাংলাদেশি-আমেরিকান কল্লোল আহমেদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মাছ, সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের শীর্ষ আমদানিকারক ও সরবরাহকারী।

২০১৮ সালের ২৬ মার্চ থেকে ২০১৯ সালের ৮ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে গোঁফওয়ালা এসব মাছপণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করে প্রিমিয়াম ফুডস। তবে এ বছরের মার্চে এফএসআইএস-এর কাছ থেকে নোটিশ পাওয়ার পর আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশ্য এখনও কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক কে এম চৌধুরী।

কে এম চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে খুব সামান্য পরিমাণ মাছ মজুত আছে। এগুলো শিগগিরই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বা অন্য কোনও দেশে রফতানি করে দেওয়া হবে।

শনিবার এফএসআইএস-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমদানি করা এসব মাছ কলোরাডো, কানেকটিকাট, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয়, মিশিগান, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক ও পেনসিলভানিয়ায় খুচরা বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এসব পণ্য গ্রহণের কারণে কোনও খারাপ প্রতিক্রিয়ার নিশ্চিত খবর নেই’। ভোক্তাদের ফ্রিজে কিছু পণ্য থেকে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই বিবৃতিতে তা বাইরে ফেলে দিতে বা যেখান থেকে কেনা হয়েছে সেখানে ফিরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক কে এম চৌধুরী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সংস্থার অনুমতি নিয়ে এসব মাছ আমদানি করা হয়। রাজস্ব কর্তৃপক্ষও এসব মাছ ছাড় করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না এফএসআইএস কেন ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। অন্য প্রজাতি থেকে এই প্রজাতিকে শুধু তাদের গোঁফের কারণে আলাদা করা যায়’।

/জেজে/এমপি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষ খবর
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা