X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

সেনা-ক্ষমতার লাগাম টানতে মিয়ানমারে বিতর্ক শুরু, সংবিধানে ৩৭০০ সংশোধনীর প্রস্তাব

বিদেশ ডেস্ক
৩০ জুলাই ২০১৯, ২২:৫৪আপডেট : ৩১ জুলাই ২০১৯, ০৯:২৮

রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা সীমিত করে আনতে পার্লামেন্টে বিতর্ক শুরু করেছেন মিয়ানমারের আইন প্রণেতারা। সেনাবাহিনীর আইন প্রণেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও সংবিধানে এ সংক্রান্ত সংশোধনী আনতে মঙ্গলবার ওই বিতর্ক শুরু হয়েছে। পার্লামেন্টের একাধিক দলের সমন্বয়ে একটি গঠিত কমিটি পার্লামেন্টে বিতর্কের জন্য  ছোটবড় তিন হাজার সাতশো সংশোধনীর প্রস্তাব করেছে। সামরিক বাহিনীর আইন প্রণেতারা প্রথম দিনের বিতর্কে অংশ নেয়নি। তবে তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা সংশোধনীর বিপক্ষে নয়। সেনা-ক্ষমতার লাগাম টানতে মিয়ানমারে বিতর্ক শুরু, সংবিধানে ৩৭০০ সংশোধনীর প্রস্তাব

২০১৬ সালের নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় নিয়ে সরকার গঠন করে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। দলটির পক্ষ থেকে রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা খর্ব করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে দেশটির  পার্লামেন্টে থাকা সেনাবাহিনীর আইন প্রণেতারা তাতে বাধা দেওয়ার কথা বলে আসছেন। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির পার্লামেন্টের এক চতুর্থাংশ আইন প্রণেতার মনোনয়ন দেয় সেনাবাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোও তাদের অধীনে রাখা হয়। সংবিধানে সংশোধনী আনতে হলে ৭৫ শতাংশের বেশি আইন প্রণেতার সম্মতি থাকতে হয়।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনের বিতর্ক শুরুর পর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মং মং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা এই আলোচনায় ততক্ষণ কোনও বিঘ্ন ঘটাবো না যতক্ষণ তা আইন ও পদ্ধতির অধীনে চলছে।

১৫ বছরের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে পার্লামেন্টে সেনা প্রতিনিধি কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে এনএলডি। এছাড়া স্বামী ও সন্তান  বিদেশি নাগরিক হলে কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারবে না সংবিধানের এমন একটি ধারা পরিবর্তনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই ধারার কারণেই প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিতে পারেননি এনএলডি নেতা অং সান সু চি। বিশেষভাবে তৈরি করা রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার পদে থেকে রাষ্ট্রপরিচালনায় দিক নির্দেশনা দিতে হচ্ছে তাকে।

পার্লামেন্টের আইন প্রণেতারা বলছেন, সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে বেসামরিক সরকার চুক্তিতে পৌঁছাতে পারলে সংবিধানের কোনও কোনও সংশোধনীর পার্লামেন্টের অনুমোদন পাওয়া সম্ভব।  আরাকান লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি দলের আইন প্রণেতা তু মে বলেন, যতদূর আমি দেখতে পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে সেনাবাহিনীর প্রধান সংবিধান সংশোধনের বিরোধিতা করছেন না।

সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং গত জানুয়ারিতে বলেছেন, সেনাবাহিনী কখনোই বলেনি তারা পরিবর্তনের পক্ষে নয় তবে প্রয়োজন পড়লে সংশোধনী আনতে হবে। তবে মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র মিয়ো নুয়ান্ট রয়টার্সকে বলেছেন, সেনাবাহিনীর আইন প্রণেতারা সংশোধনীর তীব্র বিরোধিতা করছেন, তবে তারা কেবলমাত্র পুতুলই। যদি নীতি নির্ধারকরা তাদের মত পরিবর্তন করেন আমার মনে হয় আইন প্রণেতারাও ঠিক থাকবেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সংবিধানে আনা এক সংশোধনীর আওতায় ৫০ বছরের মাথায় ২০১১ সালে নির্বাচন দিয়ে রাজনীতি থেকে পিছু হটা শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তবে ওই সংশোধনীতে পার্লামেন্ট ও সরকারে সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্ব নিশ্চিত করা হয়।

 

/জেজে/বিএ/
সম্পর্কিত
মিয়ানমারে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহরে কোণঠাসা জান্তা
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ মাওবাদী নিহত
সর্বশেষ খবর
রেলক্রসিংয়ে রিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, বাবার মৃত্যু মেয়ে হাসপাতালে
রেলক্রসিংয়ে রিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, বাবার মৃত্যু মেয়ে হাসপাতালে
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
গরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন