নতুন মডেলের জোড়া পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার দেশটির পূর্ব উপকূল অভিমুখে এগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে ২৫০ কিলোমিটার দূরের জাপান সাগরে অবতরণ করে। এ নিয়ে পিয়ংইয়ং চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর আগে গত ২৫ জুলাই স্বল্পপাল্লার দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল দেশটি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ওয়াশিংটন ও সিউলের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন সামরিক মহড়া প্রশ্নে সতর্ক বার্তা উচ্চারণের পর দুই দফায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা ঘটালো দেশটি। অবশ্য বুধবার উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র দুটি আগের ক্ষেপণাস্ত্রের মতো নয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস)। তারা বলছেন, পিয়ংইয়ংয়ের আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর চাইতে এগুলো ভিন্ন মডেলের। তবে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নজরদারি অব্যাহত রাখছে সিউল।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তাও সিএনএন-এর কাছে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ওই কর্মকর্তা জানান, এটি যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের জন্য কোনও হুমকি নয়। কেননা, উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র দুটি সাগরে অবতরণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) অবশ্য সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা হ্রাসের প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে না। আমরা পিয়ংইয়ংকে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।
এর আগে গত ২৫ জুলাই স্বল্পপাল্লার দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবাজদের প্রতি গুরুতর হুঁশিয়ারি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল উত্তর কোরিয়া। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এ ঘটনা ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা ফের শুরুর পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।