উত্তর কোরিয়া নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। শুক্রবার (২ আগস্ট) দুটি প্রজেক্টাইল মিসাইল উৎক্ষেপণ করে দেশটি। এ নিয়ে গত আটদিনে তৃতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো পিয়ং ইয়ং। সিউলের দাবি, উৎক্ষেপিত এ স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ধরন নতুন।
গত বছর পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ এবং আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না চালানোর ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয় একটি পারমাণবিক স্থাপনা। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বৈঠক কোনও চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়। কিম বাজে চুক্তির প্রস্তাব করেছেন এমন অভিযোগ করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত মাসে কৌশলগত নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র পরীক্ষার কথা স্বীকার করে পিয়ংইয়ং। গত জুনে ট্রাম্প এবং উনের মধ্যে সাক্ষাতের পর গত সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। ২৫ জুলাই দুটি পরীক্ষা চালায় তারা। এরপর ৩১ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পপাল্লার আরও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, শুক্রবার (২ আগস্ট) আবারও পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ২টা ৫৯ ও ৩টা ২৩ মিনিটের দিকে প্রজেক্টাইল মিসাইল দু'টি উৎক্ষেপণ করা হয়। দক্ষিণ হ্যামগিয়ন প্রদেশের ইয়ংঘুন এলাকা থেকে জাপান সাগরের দিকে ছোড়া হয় সেগুলো। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্রের দাবি, মিসাইলগুলো নতুন ধরনের। গত সপ্তাহে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে সেগুলোর মতোই দেখতে এগুলো।
আগামী মাসেই সিউল ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের এসব ঘটনাকে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য ‘গুরুতর সতর্কতা’ বলে উল্লেখ করেছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়াকে অর্থপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য,ফ্রান্স ও জার্মানি। নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশগুলো জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ না করলে তাদের ওপর জোরপূর্বক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।