২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি আরও এক ধাপ কমানোর হুমকি দিয়েছে ইরান। শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এই হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা আইসিএএনএ। তবে এই দফায় কী পরিমাণ প্রতিশ্রুতি কমানো হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
২০১৫ সালের জুনে ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানির স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তেহরান। পূর্বসূরি ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে গত বছরের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে নভেম্বর থেকে তেহরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তি রক্ষায় বাকি পাঁচটি দেশও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করে আসছে ইরান।
ইউরোপীয় দেশগুলোর ব্যর্থতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে এ বছরের মে মাসে চুক্তি থেকে আংশিক সরে আসার ঘোষণা দেয় তেহরান। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। ৭ জুলাই সেই সময়সীমা শেষে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৫ শতাংশে উত্তীর্ণ করার ঘোষণা দেয় ইরান। ২০১৫ সালের চুক্তিতে এই মাত্রা ৩.৬৭ শতাংশে সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি ছিল তেহরানের। গত মাসে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ২০ শতাংশে বাড়ানোর পাশাপাশি নিস্ক্রিয় করে রাখা সেন্ট্রিফিউজগুলো আবারও চালুর হুমকি দেয় ইরান।
শনিবার আইসিএএনএ জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃতীয় দফায় প্রতিশ্রুতি কমানো বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, আমরা বলেছি যে অন্য দেশগুলো যদি চুক্তি বাস্তবায়ন না করে তাহলে আমরাও একইভাবে চুক্তি মেনে চলবো না। আর অবশ্যই আমাদের সব কার্যক্রম হবে চুক্তির কাঠামো অনুযায়ী।
ইরান বারবারই বলে আসছে চুক্তিতে বহাল থাকা দেশগুলো যদি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে তেহরানের অর্থনীতিকে রক্ষায় ব্যর্থ হয় তাহলে তারা ধাপে ধাপে চুক্তির প্রতিশ্রুতি কমাতে থাকবে। এমনকি চুক্তি বাতিলও করতে পারে বলে সতর্ক করে দেয়।