X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুদানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি

বিদেশ ডেস্ক
১৭ আগস্ট ২০১৯, ২২:৩৪আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৯, ২২:৩৬

সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির এক ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে উপনীত হয়েছে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। ১৭ আগস্ট শনিবার রাজধানী খার্তুমে সামরিক কাউন্সিল এবং গণতন্ত্রপন্থীদের জোট ফোর্সেস ফর ফ্রিডম অ্যান্ড চেঞ্চ (এফএফসি)-এর মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ইথিওপিয়া ও মিসরের প্রধানমন্ত্রী এবং সাউথ সুদানের প্রেসিডেন্টসহ আঞ্চলিক নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সুদানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি
সমঝোতা অনুযায়ী, পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সরকার পরিচালনায় একটি যৌথ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছে জান্তা সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক জোট। সে অনুযায়ী, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবে ছয়জন বেসামরিক প্রতিনিধি এবং পাঁচজন জেনারেলের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ কাউন্সিল। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা যৌথ কাউন্সিলের মেয়াদ হবে তিন বছর তিন মাস। তারা মূলত নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন একটি বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে।

২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। জ্বালানি ও রুটির দাম বৃদ্ধির এক সরকারি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। শুধু গত ৩ জুন একদিনেই বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তক্ষয়ী অভিযানে নিহত হন ৮৭ জন। আহত হন আরও ১৬৮ জন। ওমর আল বশির-কে উৎখাতে সেনাবাহিনীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলো। গত জুনে সুদানের জান্তা সরকারের ধরপাকড় বন্ধে প্রভাব কাজে লাগাতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে দেশজুড়ে তীব্র গণআন্দোলন অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় উপনীত হয় জান্তা সরকার। সূত্র: দ্য নিউ আরব, দ্য গার্ডিয়ান, আফ্রিকা নিউজ।

/এমপি/
সম্পর্কিত
ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিহত ৯, উদ্ধার ২২
বিনিয়োগ ও সামাজিক ব্যয়ের প্রতিশ্রুতিতে তৃতীয় মেয়াদ শুরু সিসির
এমভি আবদুল্লাহকে মুক্ত করতে ‘অভিযানের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী
সর্বশেষ খবর
দোকান সাজাতে গিয়ে গানচিত্র নির্মাণ!
দোকান সাজাতে গিয়ে গানচিত্র নির্মাণ!
বিতর্কিত দ্বীপ নিয়ে জাপানের কূটনীতিককে তলব দ. কোরিয়ার
বিতর্কিত দ্বীপ নিয়ে জাপানের কূটনীতিককে তলব দ. কোরিয়ার
সন্তানদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে চা বিক্রেতা মনিরুজ্জামানের
সন্তানদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে চা বিক্রেতা মনিরুজ্জামানের
ক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা
ক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা
সর্বাধিক পঠিত
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি