জোটগত টানাপোড়েনের জেরে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্টে। মঙ্গলবার সিনেটে এক বিতর্কের পর এই ঘোষণা দেন ফাইভ স্টার মুভমেন্টের এই নেতা। আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি সার্জিও মাত্তারেল্লার কাছে পদত্যাগের কথা জানান তিনি। জোট শরিক ডানপন্থী লীগ দলের নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তিও সালভিনি আস্থা ভোটের আহ্বান জানানোর ১২ দিনের মাথায় পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। পদত্যাগের ঘোষণার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সুবিধাবাদী আখ্যা দেন তিনি।
গত বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। প্রথাবিরোধী দল ফাইভ স্টার মুভমেন্ট ও ডানপন্থি লীগ দলের জোটে গঠিত হয় নতুন সরকার। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে ওই সরকারের পতন ঘটলো।
সম্প্রতি নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানায় সালভিনির ডানপন্থী লীগ। এতে সমর্থন দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনির ফোর্জা ইতালিয়া ও অন্য ডানপন্থী দলগুলো।
মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্টে বলেন, ‘সালভিনিরসিদ্ধান্তে দেশ ও এর অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের আঘাত হয়ে এসেছে’। তিনি বলেন, সালিভনি কেবল নিজের ও নিজ দলের সদস্যদের স্বার্থ দেখছে। ভবিষ্যতে সালভিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী হলে তা ভীতিকর হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ইতালিতে এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। এটা এখন প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। নতুন নির্বাচন ছাড়া জোট গঠনের মাধ্যমে পার্লামেন্টে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে নতুনভাবে সরকার গঠনের অনুমতি দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এমনকি সংখ্যাঘরিষ্ঠ আইনপ্রণেতারা সমর্থন দিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ বাজেট আইন পাস করাতে পারবেন তিনি।