X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে ৩০ সেনা সদস্যকে হত্যার দাবি বিদ্রোহীদের

বিদেশ ডেস্ক
২২ আগস্ট ২০১৯, ০২:৩৩আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৯, ০২:৩৪

মিয়ানমারের শান প্রদেশে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষে দেশটির সেনাবাহিনীর ৩০ সেনা নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার শান প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে এই সংঘর্ষ হয়। বুধবার এই দাবির কথা জানিয়েছে নৃতাত্তিক বিদ্রোহীদের জোট। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

মিয়ানমারে ৩০ সেনা সদস্যকে হত্যার দাবি বিদ্রোহীদের

বিদ্রোহের জোটের দাবি অনুসারে, বেশিরভাগ সংঘর্ষ লাসিও থেকে মিউসি পর্যন্ত মহাসড়কের কটকাই শহরতলীতে হয়েছে। এ মধ্যে কয়েকটি সংঘর্ষ ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত চলছিল। সংঘর্ষ রাত ৮টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।

সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রাহীদের ওই এলাকায় ৯টি সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে জোট। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে ৩০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে এবং ১৬জন আহত হয়েছে। বিদ্রোহীদের কয়েকজন আহত হলেও কেউ নিহত হয়নি।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জও মিন তুন বলেন, ৩০ সেনা সদস্য মারা যায়নি, এটা অসম্ভব। তিনি বলেন, নং চো ও কিয়াকমি শহরে দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কিয়াকমির সংঘর্ষে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) একটি অস্থায়ী ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

নর্দান অ্যালায়েন্স দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী তিনটি গোষ্ঠীর জোট। টিএনএলএ ছাড়াও আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এই জোটের সদস্য।

বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আরও বলেন, কুটকাই এলাকায় আরও একটি সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আমরা জানতে পেরেছি, লাসিও এবং কুটকাই এলাকায় বিদ্রোহীদের অনেক সদস্য নিহত হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ১০ বিদ্রোহীর মরদেহ উদ্ধার করার কথা জানতে পেরেছি।

এদিকে বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে গত এক সপ্তাহে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। 

গত ২০ নভেম্বর চীন সংলগ্ন মিয়ানমার সীমান্তে কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সেনা ও পুলিশ চৌকিতে হামলা করার পর শান রাজ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার জাতিগোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র সংগঠন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (আরাকান আর্মি), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়।

বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের শান প্রদেশে সেনাবাহিনীর একটি কলেজসহ পাঁচটি স্থানে হামলা চালায় স্থানীয় তিনটি বিদ্রোহী সংগঠনের জোট নর্দান অ্যালায়েন্স। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়। এদের অধিকাংশ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এই হামলার পর থেকে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ জাতিগত সংঘাতের কারণে হাজার হাজার মানুষ ঘরহারা হচ্ছে।

 

 

/এএ/
সম্পর্কিত
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ মাওবাদী নিহত
স্বার্থে আঘাত করলে কঠোর জবাব দেবে ইরান: রাইসি
সর্বশেষ খবর
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রিয়ালের মধুর প্রতিশোধে গর্বিত আনচেলত্তি 
রিয়ালের মধুর প্রতিশোধে গর্বিত আনচেলত্তি 
সর্বাধিক পঠিত
এএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
রেস্তোরাঁয় ‘মদ না পেয়ে’ হামলার অভিযোগএএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
এবার নায়িকার দেশে ‘রাজকুমার’ 
এবার নায়িকার দেশে ‘রাজকুমার’ 
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের