ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ২৩ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলটিতে নিজেদের সমর্থন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নতুন কর্মী নেওয়ার এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ৩৭০ ধারা বাতিলের আগ-মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মিরে আধাসামরিক বাহিনীর ৩৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। পরে নতুন করে সেখানে নিয়োজিত হয় আধাসামরিক বাহিনীর আরও ৮ হাজার সদস্য। উপত্যকায় কারফিউ জারির পাশাপাশি টেলিফোন-ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিনাশ রায় খান্না জম্মু ও কাশ্মিরের নির্বাচনি দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, অনলাইন মাধ্যমে সেখান থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ১৭৪ জন নতুন সদস্য পেয়েছেন তারা। অফলাইন থেকেও আরও সদস্য আসার কথা। সব মিলে এই সংখ্যা দাঁড়াবে সাত লাখে। তিনি বলেন, বিজেপির সদস্য হতে হলে একটি নাম্বারে মিস কল দিলেই হবে।
প্রতি রাজ্যেই ২০ শতাংশ সদস্য বাড়ানোর লক্ষ্য বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের আগে কাশ্মিরে তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ৯৫৯ জন। সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরুর আগে এই সংখ্যা ছিল এক লাখের মতো। বারামুল্লাহ, শ্রীনগর ও অনন্তনাগ থেকে নতুন করে ২৩ হাজার সদস্য যুক্ত হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আরও সদস্য বাড়বে বলে আশাবাদ তাদের।
তবে জম্মু ও কাশ্মিরে খুব শিগগিরই নির্বাচন হয়তো হবে। নতুন আইন অনুযায়ী ৩১ অক্টোবরই কাশ্মির ভারতের সঙ্গে চলে আসবে। তবে নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি হতে নিশ্চিতভাবেই আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
খান্না বলেন, উজ্জ্বলা কার্যক্রমের আওতায় এলপিজি সিলিন্ডার কিংবা সচ্ছ ভারতের আওতায় টয়লেট তৈরিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চালানো হবে। সেখানে ১০০টি প্রতিষ্ঠান সরাসরি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে। বিজেপি সেখানে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।