আসমের নাগরিক তালিকা বা এনআরসি নিয়ে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে কোণঠাসা করতে বিধানসভায় যৌথ প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে এই প্রস্তাব আনা হতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্না বলেন, ‘গত দুদিন ধরে, আসমের এনআরসির বিরুদ্ধে আমাদের (বাম ও কংগ্রেস) প্রস্তাব আনতে দেওয়া নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ (বুধবার) তারা রাজি হয়েছে। এখন এটা ঠিক হয়েছে, শুক্রবার একসঙ্গে প্রস্তাব আনবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী বাম ও কংগ্রেস। এটা নিয়ে আলোচনা হবে।
২৬ আগস্ট বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধি ও পে কমিশনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। তবে তাদের সেই দাবি খারিজ হয়ে যায়।
৩১ আগস্ট এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তবে গত দুদিন ধরে এই দাবি মানা হচ্ছিল না। সেই কারণে আমরা মনে করেছিলাম, যেসব মানুষ এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, তাদের দুর্ভোগ সম্পর্কে চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আজ তারা জানায়, তারা যৌথ প্রস্তাব আনবে।
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই কঠোর নিয়মের বিরোধিতা করার সময় এসেছে।
বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা জানান, প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে তার দল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে এনআরসি করা হয়েছে। তারা যদি এর বিরোধিতা করে, তারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
এর আগে সোমবার তৃণমূল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এনআরসির বিরোধিতায় ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করবে তারা।
উল্লেখ্য, আসমের চূড়ান্ত এনআরসিতে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৬৬১ জন। এদের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন। বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন।