বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর যুক্তরাষ্ট্র পালাতে বাধ্য হয়েছেন বিশিষ্ট পাকিস্তানি মানবাধিকারকর্মী গুলালাই ইসমাইল। এক বিবৃতিতে তিনি নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা এই অধিকারকর্মী কীভাবে দেশত্যাগ করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
গুলালাই ইসমাইল পাকিস্তানে পরিচিত নাম। অনেকদিন ধরেই তিনি পাকিস্তানে মানবাধিকার প্রশ্নে সরব ভূমিকা পালন করছেন। রিচ তেষের সেরাবাজিনীর পাখতুন নারীদের ওপর বর্বরোচিত নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় সেনাবাহিনী। বাড়ির সামনে পাহারা বসিয়েছে। অন্তত চারবার তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। জব্দ করেছে সিডি, পেনড্রাইভসহ বিভিন্ন কাগজপত্র।
এক বিবৃতিতে গুলালাই বলেন, বিগত মাসগুলো খুবই দুর্বিষহ ছিল। আমাকে হয়রানি করা হয়েছে। আমি ভাগ্যবান যে আমি জীবিত। কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সে বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে উড়ে আসেননি তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে নিউইয়র্কে নিজের বোনের সঙ্গে রয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই মানবাধিকারকর্মী। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন তিনি।
২০১৩ সালে গুলালাই ১০০ জন নারীকে দিয়ে একটি সংগঠন শুরু করেন। ঘরোয়া সহিংসতা ও বাল্য বিবাহ নিয়ে কাজ করেন তারা। তবে তার সামাজিক কর্ম শুরু আরও আগেই। ১৬ বছর বয়সে প্রথম নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন তিনি। তার কাজের জন্য বিভিন্ন সময় অনেক পুরস্কার পেয়েছেন গুলালাই।