সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলায় ইরান জড়িত দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের। তিনি বলেন, ইরান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংযম মেনে নেওয়া হবে না। আর হামলার জবাব হিসেবে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করে। হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পেছনে ইরানকে দায়ী করে আসছে। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সৌদি আরবেরও ধারণা,উপসাগরীয় চিরবৈরী দেশ ইরানই এই হামলা করেছে। কাজেই তদন্ত শেষ হলে সামরিকভাবে এ হামলার জবাব দেওয়ার কথা ভাবছে রিয়াদ। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সমর্থন জড়ো করতে চাই। আমরা সব বিকল্পের কথাই ভাবছি- কূটনৈতিক বিকল্প, অর্থনৈতিক বিকল্প এবং সামরিক বিকল্প; তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে চাই। কিন্তু একই সময় ইরানকে এ আভাস দিচ্ছে যে, আপনাদের অব্যাহত এই আচরণ চলতে দেওয়া হবে না।
১৪ সেপ্টেম্বরের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ স্থল শনাক্ত করতে জাতিসংঘ সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন আদেল আল জুবায়ের। ওই হামলায় বৈশ্বিক তেল উৎপাদন ৫ শতাংশ কমে যাওয়ায় তেলে দাম বেড়ে গিয়েছিল। শিগগিরই সুষ্ঠুভাবে এই তদন্ত শেষ হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে কয়েক দিন না, বরং কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে।