প্রায় ৫০ দিন গৃহবন্দি থাকার পর ছাড়া পেয়েছেন জম্মুর রাজনৈতিক নেতারা। জম্মু-কাশ্মিরের ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচনের জন্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মিরের রাজ্যপালের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, কাশ্মিরের নেতাদেরও প্রত্যেকের সম্পর্কে আলাদা বিবেচনার পর একে একে মুক্তি দেওয়া হবে।
৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এ পদক্ষেপকে ঘিরে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। সেখানকার অধিবাসীদের ওপর চলাচলে রয়েছে বিধিনিষেধ। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক শ’ নেতাকর্মীকে। তাদের বেশিরভাগকে এ রাজ্যের বাইরে কারাগারে ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় বন্দি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক যুবক ও কিশোর রয়েছে।
জম্মু-কাশ্মিরে প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে আছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি। কাশ্মিরে যাতে অশান্তি না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য নেতাদের গৃহবন্দি করা হয়েছিল বলে দাবি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের।
রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের উপদেষ্টা ফারুক খানকে প্রশ্ন করা হয়, এবার কি কাশ্মীরের নেতাদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেকের সম্পর্কে আলাদা করে আমরা বিবেচনা করব। তাদের একে একে মুক্তি দেওয়া হবে।
এর আগে শ্রীনগরের ৯০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯৬টি খুলে দিলেও শিশুদের পাঠাতে ভয়ে ছিলেন অভিভাবকরা। খোলা হলেও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়নি। শুধু শিক্ষক আর কর্মীরা গিয়েছিলেন স্কুলে। এই অবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলগুলো পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।