বিদেশে তেল রফতানি করতে সব ধরনের সম্ভাব্য মাধ্যম ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের তেলমন্ত্রী বিজন জাঙ্গানেহ। ওই মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে দেশটির তেল মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ‘সানা’তে জানানো হয়, অপরিশোধিত তেল রফতানি তেহরানের বৈধ অধিকার।
২০১৫ সালের জুনে ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান) পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তেহরান। ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নভেম্বরে থেকে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে যাচ্ছে তেহরান। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো প্রতিশ্রুতি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এবারের ঘোষণায় দেশটির পারমাণবিক গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার ওপর আরোপিত সব ধরনের সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণার পর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড সংশ্লিষ্ট তেল পরিবহন নেটওয়ার্ক ও পরে জাতীয় ব্যাংকের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এমন বাস্তবতায় ইরানের অপরিশোধিত তেল রফতানি ৮০ ভাগ হ্রাস পায়।
বিজন জাঙ্গানেহ বলেন, ‘আমরা আমাদের তেল রফতানি করতে সব ধরনের সম্ভাব্য মাধ্যম ব্যবহার করবো। আমরা আমেরিকার চাপের কাছে নতিস্বীকার করবো না। কারণে তেল রফতানি ইরানের বৈধ অধিকার।’