ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেতা কুরবান শাহকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত ১০টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত কুরবান শাহ পূর্ব-মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি ছিলেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে বিজেপি-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
পাঁশকুড়ার মাইসোরায় নিহতের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান শুভেন্দু অধিকারী। এ সময় কারও নাম না নিয়ে তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে বেশ কয়েকবার দেখা গেছে। সে-ই পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চায়েত সমিতির নেতাকে খুন করিয়েছে।
বিজেপি অবশ্য এ হত্যাকাণ্ডে যোগসাজশের খবর অস্বীকার করেছে। দলটির জেলা সহসভাপতি মানস রায়ের দাবি, এর সঙ্গে বিজেপি-র রাজনীতির কোনও যোগসূত্র নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেল ফল। গোটা রাজ্যে তাদের কোন্দল বেড়েছে। এ ঘটনা তারই প্রমাণ।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দার কোনও ভাষা নেই। এর নেপথ্যে কে রয়েছে তা একটা বাচ্চা ছেলে থেকে শুরু করে সাবই জানেন। উনি সংশ্লিষ্ট এলাকায় কখন কিভাবে ছিলেন; পুলিশ সিসিটিভিতে তার প্রমাণ পেয়েছে। ভাড়া করা খুনি দিয়ে কুরবান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। ওই হত্যার নেপথ্যে দু’জন রয়েছেন। নাম বলে তাদেরকে হিরো করতে চাই না। পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। তবে নিহতের মরদেহকে সাক্ষী রেখে বললাম, অভিযুক্তরা কারাগারে যাবে, সেখান থেকে আর বেরুবে না। সেজন্য যা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তার সবই করা হবে। সূত্র: পার্স টুডে।