X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত: সিরিয়া ইস্যুতে ট্রাম্প

বিদেশ ডেস্ক
০৯ অক্টোবর ২০১৯, ২১:২৪আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৪৩

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে ৫০ জন সেনাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে জড়ানো ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত । তিনি বলেন, ‘শত শত বছর ধরে এই গ্রুপগুলোর মধ্যে আমরা যুদ্ধ করছি। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্ত হওয়াই  ঠিক হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের।’

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত: সিরিয়া ইস্যুতে ট্রাম্প

সোমবার সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতেই তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। তবে এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রও তুর্কি অভিযানের সম্ভাব্যতার কথা জানিয়েছিলো। চূড়ান্ত ঘোষণা আসার পর সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন।

বুধবার এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের ৫০ জন সেনাকে সরিয়ে আনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বোকার মতো এই অসীম যুদ্ধ আমাদের জন্য শেষ হচ্ছ।’

ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ও নীতিগত কারণে ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। হাজার হাজার মার্কিন সেনা হতাহতের শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যুক্ত হওয়া ছিলো আমাদের দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা মিথ্যা বিশ্বাসে যুদ্ধ শুরু করেছিলাম। গণহত্যাকারী অস্ত্রের কথা বলা হয়েছিলো আমাদের। কিন্তু সেখানে কিছুই নেই। 

অন্যদিকে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র গোষ্ঠী এসডিএফের মুখপাত্র কিনো গ্রাব্রিয়েল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছিলো যে তারা তুরস্ককে কোনও সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে দেবে না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিবৃতিতে আমার খুবই অবাক হয়েছি। ঘটনাটি পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার সামিল।

তুরস্কের এই অভিযানে মার্কিন সেনা সরিয়ে নিলেও ট্রাম্প বলেছেন, অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে তুরস্কের বিরুদ্ধে।

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
হৃদয় বিদারক সেই ঘটনার ১১ বছর
হৃদয় বিদারক সেই ঘটনার ১১ বছর
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে প্রাণ গেলো একজনের, আহত ১০
এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে প্রাণ গেলো একজনের, আহত ১০
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক