X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে জেল খেটেছিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ

বিদেশ ডেস্ক
১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১১:০৯আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১২
image

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে জেল খেটেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৮৩ সালে এক বন্ধুসহ তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে। ২০১৬ সালে হিন্দুস্থান টাইমস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক এই শিক্ষার্থী।

হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে জেল খেটেছিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতা আফজাল গুরুর ফাঁসির বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান আয়োজন ও তাতে দেশবিরোধী বক্তব্য ও স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এরপর দেশদ্রোহিতার অভিযোগে ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের  বামপন্থী সভাপতি ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে। ২৩ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে দিল্লি হাইকোর্ট তাদের তিনজনকেই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। 

ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের সেই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে হিন্দুস্থান টাইমসকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন আজকের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। বলেছিলেন, “ভর্তি প্রক্রিয়া বদলানোর দাবিতে আন্দোলন হচ্ছিল। ফি এতটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তা সামলানো গ্রামীণ এলাকা থেকে পড়তে আসা ছেলেমেয়েদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ছাত্র সংসদ এর প্রতিবাদ করায় সংসদ সভাপতিকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তখনই ছাত্র আন্দোলন আরও তীব্র হয়।” তার কথায়, “সেই আন্দোলন দমন করতেই পুলিশ ঢোকে ক্যাম্পাসে। আমাদের মারতে মারতে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্দেহ নেই এতে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদত ছিল। তারা বলেছিল, ‘আমরা বস্। আমাদের কথার উপর কথা বলা যাবে না’।”

সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ জানিয়েছিলেন, “১৯৮৩তে আমাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়নি ঠিকই। তবে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ছাত্র আন্দোলন বাম ঘেঁষা ছিল বলে ওই পুলিশি কার্যকলাপকে পিছন থেকে সমর্থন করেছিল কেন্দ্রের কংগ্রেসি সরকার।”

অভিজিতের মা সোমবারই জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় বস্তির ছেলেদের সঙ্গে রাস্তায় খেলত তার ছেলে। পরিবার কখনও বাধা দেয়নি। সেই সময় থেকেই দারিদ্র্য নিয়ে কৌতূহল ছিল। যত পথ এগিয়েছে অভিজিৎ দারিদ্র্য নিরসনের পথ অনুসন্ধানে নিজেকে নিবিড়ভাবে নিয়োজিত করেছেন। দ্য ওয়ালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে কারণেই হয়তো দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ফি-র বোঝা তাকে জেএনইউ-এর বর্ধিত ফি-বিরোধী আন্দোলনে সামিল হতে প্ররোচিত করেছিল।

৮৩-তে জেলে যাওয়া অর্থনীতির ছাত্র ৩৬ বছর পর নোবেল জিতলেন।

/বিএ/
সম্পর্কিত
মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ইসির নোটিশ
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
ভারতের মণিপুরে হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক-সংখ্যালঘুরা: যুক্তরাষ্ট্র
সর্বশেষ খবর
বিশ্বসাহিত্যের খবর
বিশ্বসাহিত্যের খবর
দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী
দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী
স্কুল ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের