সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১২টি নজরদারি চৌকি নির্মাণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করছে তুরস্ক। বুধবার দেশটির নিরাপত্তা এক সূত্র জানায়, তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার চুক্তির পর তারা এমন কথা ভাবছে। চুক্তি অনুযায়ী ওই অঞ্চল থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে কুর্দি সেনাদের।
২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। পরে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় গত ১৭ অক্টোবর ৫ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আঙ্কারা। যুদ্ধবিরতিকালে তুর্কি বাহিনী সিরিয়াতেই অবস্থান করছিলো। তবে সে সময় কোনও সামরিক পদক্ষেপ নেয়নি তারা।
নজরদারি চৌকি নির্মাণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়ে তুরস্কের নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, ওয়াইপিজি সেনারা চলে যাওয়ায় আর নতুন সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই সেখানে।
কুর্দি বিদ্রোহীদের জোট এসডিএফ-এর মুখপাত্র কিনো গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তুরস্কের সঙ্গে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে তাদের যোদ্ধারা রাস আল আইন ত্যাগ করেছে। শহরটিতে আমাদের আর কোনও যোদ্ধা অবশিষ্ট নেই। রাস আল আইন ছাড়া তুর্কি সীমান্তবর্তী অন্য শহরগুলোতে অবশ্য নিজেদের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করেছেন কুর্দি যোদ্ধারা।’
প্রসঙ্গত, ১৯৮০’র দশক থেকে নিজ দেশের কুর্দিপন্থি সশস্ত্র দল কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে তুরস্ক। পিকেকে ও তাদের সশস্ত্র সমর্থক গোষ্ঠী ওয়াইপিজে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা এবং সিরিয়ার অংশ বিশেষ নিয়ে আলাদা কুর্দিস্তান রাষ্ট্রগঠনের লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসছে।