ভারত শাসিত কাশ্মিরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে শুনানি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য টম ল্যান্টোস মানবাধিকার কমিশনের ওই শুনানিতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও জাতীয়তার নিরিখে কাশ্মিরের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হবে। দ্বিদলীয় এই কমিশনের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুনানির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কংগ্রেসকে সুপারিশ করা হবে। এর আগে গত মাসে কাশ্মির প্রশ্নে প্রথমবারের মতো শুনানি করে ওই কমিশন।
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর সেখানে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন, ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ এবং রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারসহ নানা ধরনের মানবাধিকার বিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ২২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের মানবাধিকার কমিশনে এ নিয়ে প্রথমবারের মতো শুনানি হয়। ওই শুনানিতে কংগ্রেস সদস্যরা মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ও কারাগারে বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক নেতার আটক থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো শুনানি শুরুর ঘোষণা দিয়ে টম ল্যান্টোস মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যক্ষদর্শীরা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে কাশ্মিরের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং ভারত ও পাকিস্তানের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপকতা খতিয়ে দেখবেন’। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা উপস্থিতির মাধ্যমে সামরিকায়ন বৃদ্ধি এবং ইন্টারনেট মোবাইল ফোন বন্ধসহ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিণতি নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারের শুনানিতে অংশ নেওয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের তালিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছেন কাশ্মিরে আটক থাকা ব্যবসায়ী মুবিন শাহের ভাইঝি ও মানবাধিকার আইনজীবী ইয়োসরা ওয়াই ফাজিলি।