X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

যেভাবে নেতানিয়াহুর টিকে থাকার যুদ্ধের বলি হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা

বিদেশ ডেস্ক
১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৪২আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:২৮

ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাফিয়ার মতো আচরণ, আইনের তোয়াক্কা না করা, ইহুদি ও আরব উভয়ের বিরুদ্ধে উসকানি আর সামরিক সংঘাত শুরুর বেপরোয়া সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ এই সপ্তাহে গাজা ও দামেস্কতে বোমা বর্ষণ; যেভাবে সম্ভব ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বেলফোর স্ট্রিটে তার টিকে থাকার এই লড়াইয়ের বিপরীতে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একই পরিবারের ৮ সদস্যসহ অন্তত ৩৪জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে আহত হয়েছেন আরও ১১১ জন। হয়ত আগামীতে এই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

কয়েকটি ঘটনাকে একসঙ্গে মিলিয়ে দেখলে পুরো পরিস্থিতি অনুধাবন করা সম্ভব হবে:

১. এক সময়ের উপদেষ্টা শ্লোমো ফিলবার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রাষ্ট্রীয় সাক্ষী হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, তাকে হয়রানি করতে সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

২. আইনমন্ত্রী আমির ওহানার বিদ্রুপ ও পরিহাসপূর্ণ ভাষণের পর নেতানিয়াহুর আরেক সাবেক উপদেষ্টা নির হেফেৎজ দুর্নীতি মামলায় সাক্ষী হয়েছেন।

৩. পিতাহ টিকবা এলাকায় নেতানিয়াহুর সমর্থক বিক্ষোভকারীরা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।

৪. আরব জোটের সমর্থন পাওয়া যে কোনও সরকারকে অবৈধ প্রতিপন্ন করতে নেতানিয়াহুর অবিরাম প্রচেষ্টা।

এবং সর্বশেষ,

৫. মঙ্গলবার সকালে গাজা ও দামেস্কতে ইসলামিক জিহাদ নেতাদের বাসভবনে বোমা বর্ষণের নির্দেশ। ওই হামলায় গাজায় বাহা আবু আল-আত্তা ও তার স্ত্রী এবং দামেস্কতে সংগঠনটির অ্যাক্টিভিস্ট আকরাম আল-আজৌরির ছেলে নিহত হয়েছে। আকরামের নাতি নিহত হয়েছে বলেও খবর বেরিয়েছে।

সহজেই বলা যায় যে, ক্ষমতায় টিকে থাকার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য নেতানিয়াহু ও তার সহযোগীরা এসব করছেন। শাসন করা আনন্দের এবং সিগারেট ও শ্যাম্পেন যদি বিনামূল্যে পাওয়া যায় তাহলে তা আরও বেশি আনন্দের। কিন্তু এখানে আরও গভীর সত্য লুকিয়ে আছে।

জাতি-রাষ্ট্র আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

‘ইহুদি ও ইসরায়েল রক্ষার দূত’

নেতানিয়াহু বিশ্বাস করেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়া তার কাছে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার চেয়েও বেশি কিছু। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট, অ্যারিয়েল শ্যারন কিংবা এহুদ বারাকের মতো করে ভাবেন না তিনি। নিজেকে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও ইহুদি জনগণের সুরক্ষায় নিয়োজিত ‘ইতিহাসের নির্বাচিত দূত’ মনে করেন। সংস্কারপন্থী জায়নবাদী জাবোতিনস্কি যা পারেননি, তার বাবা বেনিয়নকে যা করতে দেওয়া হয়নি; সেই অপূর্ণ কাজ করার দায়িত্ব নিয়েছেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ইয়ারের একটি মন্তব্য নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করছে। ইয়ার দাবি করেছেন, তার বাবা ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত ইসরায়েল ছিল একটি প্রাচীন রাষ্ট্র, যা কেবল কমলা রফতানি করতো। আসলে নেতানিয়াহুর ছেলে যা শুনতে শুনতে বড় হচ্ছে তা হলো: ‘আমি নিজেই রাষ্ট্র’। অর্থাৎ তার বাবা ও ইসরায়েল রাষ্ট্র এবং ইহুদি জনগণ সবকিছুই এক। তার কাছে প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার মানে আর ‘বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’ না থাকা। এমনকি শেষ পর্যন্ত তিনি যদি দোষ স্বীকার করে কোনও চুক্তিও করেন, তবু আত্মজীবনী লেখা থেকে কেউ তাকে বিরত করতে পারবে না। ইসরায়েলের রক্ষাকর্তা হিসেবে তিনি নিজের জন্য যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী হতে না পারলে সেই লক্ষ্যের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হবে।

নেতানিয়াহুর অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার কোনও বিকল্প নেই। দায়িত্ব হারালে তাকে যে কেবল বিচারের মুখোমুখি হতে হবে তা নয়, তিনি আরও জানেন যে, বিচারের পর হয়তো কারাগারেও যেতে হবে তাকে। সন্দেহ নেই, এই আশঙ্কা অনেক বড়। কিন্তু এরচেয়েও বড় আশঙ্কা রয়েছে।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে দুইটি অভিযোগে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়। প্রথম অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সাহায্য করার আশ্বাসের বিনিময়ে ইয়েদিয়ত আহারোনত পত্রিকাকে নিজের পক্ষে খবর প্রচার করতে বলা। দ্বিতীয় অভিযোগ, ২০০৯ সাল থেকে হলিউড মোঘল বলে পরিচিত আহনন মিলচ্যানসহ বিভিন্ন ভক্তের কাছে থেকে অন্তত ২ লাখ ৮৩ হাজার ডলার মূল্যের ‘উপহার’ গ্রহণ। মিলচ্যানকে মার্কিন ভিসা পেতে সাহায্য করার বিনিময়ে নেওয়া ওই  উপহারগুলোর বেশির ভাগ ছিল শ্যাম্পেন ও সিগার।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি যেসব উপহার গ্রহণ করেছেন তা বেআইনি। তবে ‘ইতিহাসের নির্বাচিত দূত’ কি সামান্য সিগারের জন্য কারাগারে যাবেন? তা যেতে চান না বলেই সংবাদমাধ্যমে নিজের পক্ষে প্রচারণার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে চেয়েছেন তিনি।

ইসরায়েলিদের মধ্যে সমর্থন হারাচ্ছেন নেতানিয়াহু

আকর্ষণ হারাচ্ছেন নেতানিয়াহু

এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরের দুটি নির্বাচনে দেখা গেছে, ইসরায়েলের ভোটাররা নেতানিয়াহুর প্রতি আকর্ষণ হারাচ্ছে। তারা তাকে ‘ইতিহাসের নির্বাচিত দূত’ হিসেবে মনে করছে না। নেসেটের (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) ৬৫ আসনের বেশিরভাগ জনগণ তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় না। তার জন্য আরও খারাপ খবর হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্থজ জয়েন্ট লিস্টের সমর্থন নিয়ে আরবদের সঙ্গে সংখ্যালঘু সরকার গঠনের সম্ভাবনা বাতিল করে দেননি। তেমন কিছু ঘটলে নেতানিয়াহু যে শুধু বেলফোর স্ট্রিট থেকে সরে যাবেন না তা নয়, তার সব কাজও চাপা পড়ে যেতে পারে। মুছে যেতে পারেন ইতিহাস থেকে।

নেতানিয়াহুর ন্যায্যতা প্রতিপন্ন হয়েছে জর্ডান নদী থেকে সাগর, পশ্চিম তীর ও গাজা এবং সার্বভৌম ইসরায়েলের সীমান্তের কাছে ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনও ভূমি অগ্রাহ্য করার মধ্য দিয়ে। জাতিরাষ্ট্র আইন পাস, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মর্যাদা খর্ব করা এই ন্যায্যতার ভিত্তিমূল। নেতানিয়াহু ও তার দলের সাম্প্রতিক উত্তেজনার পেছনে এগুলোই কাজ করছে। তবে  ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের এই দাবি ইসরায়েলিরা পুরোপুরি মানছে না।

সত্য যে, পেতাহ টিকভায় নেতানিয়াহু সমর্থকদের বিক্ষোভ গত কয়েক সপ্তাহে বড় ও আক্রমণাত্মক হয়েছে। কিন্তু এখনও বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা মাত্র কয়েক হাজার। জাতীয়তাবাদী-ধর্মীয় শিবিরের বলে পরিচিত নেতা নাফতালি বেনেতে স্বীকার করেছেন, নেতানিয়াহুকে ক্ষমতায় রাখতেই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ছোট আকারের উগ্র-জাতীয়তাবাদী দলটি ইসরায়েলের অবৈধ বসতি প্রকল্পের সমর্থক। তাই এটা কাকতালীয় নয় যে, ডানপন্থী দলগুলোর জোট ইয়ামিনা সর্বশেষ নির্বাচনে মাত্র সাতটি আসনে জয় পেয়েছে। তাদের নেতা বেনেত ও আয়েলেত শাকেদ এপ্রিলে জামানত হারিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের মন্ত্রিসভায় তাদের তিনজন মন্ত্রী রয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের নিহত ৮ জনের মধ্যে ৫ জন শিশু

একটি মারাত্মক বিপর্যয়

উপরের ঘটনা থেকে ধারণা পাওয়া যায় কীভাবে চ্যানেল ১২ এর একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং অবৈধ বসতিতে জন্ম নেওয়া জাতীয়তাবাদী-ধর্মীয় শিবিরের পরিচিত মুখ অমিত সেগাল নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষা দফতরে যুক্ত হয়েছেন। অমিতের বাবা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। নেতানিয়াহুর শিবিরে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে অমিত ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকারের পরিচয় হারানোর ঝুঁকি পর্যন্ত নিয়েছেন।

গত মাসে বেনেতের ফেসবুক পোস্টের নেপথ্যেও ছিল একই কারণ। ওই পোস্টে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি বিচার ব্যবস্থা নেতানিয়াহুকে উচ্ছেদে সমর্থ হয় তাহলে পুরো জাতীয়তাবাদী শিবিরের জন্য তা হবে একটি বড় বিপর্যয়’।

মেগাল, বেজালেল স্মোতরিচ ও অপর জাতীয়তাবাদী ধর্মীয় নেতাদের মতো বেনেতও নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে সরকার পরিচালিত না হওয়ার প্রশ্নে বড় ধরনের উদ্বেগে রয়েছেন। তারা বিশেষ অবস্থান হারানোর আশঙ্কা করছেন, যা তাদের রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। কারণ নেতানিয়াহুর অধীনে গত এক যুগ ধরে তারা শাসন ক্ষমতার অংশীদার থেকেছেন এবং বিশেষ সুবিধা ভোগ করেছেন। বিশেষ করে সর্বশেষ সরকারের আমলে। ফলে অন্য সব বিবেচনাকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ইহুদি আধিপত্য চিরস্থায়ী করতে প্রথম ও একমাত্র কাজ হলো নেতানিয়াহুর ন্যায্যতাকে ধরে রাখা। এটিই সবকিছুকে গ্রাস করে ফেলেছে।

প্রায় সব রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইসরায়েলি নাগরিক, এমনকি ডানপন্থী দলের সমর্থকদের অনেকেও বুঝতে পারছেন আবু আল-আত্তা হত্যা কোনও নতুন হামলার পাল্টা আঘাত নয়। একইসঙ্গে পাঁচ বছর পর লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হত্যার নীতিও পুনরায় চালু করা হয়েছে। বেনি গান্থজ যেনও আরব জোটের সমর্থনে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এমনটি করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই আবু আল-আত্তার স্ত্রী ও আল-আজৌরির ছেলেকে জীবন দিতে হলো।

নেতানিয়াহু বা ইসরায়েলের সংখ্যাগরিষ্ঠ ইহুদিদের সমীকরণে এদের জীবনের কোনও মূল্য নেই। এমনকি এই সহিংসতায় যেসব ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি জীবন দিয়ে মূল্য দিচ্ছেন নেতানিয়াহুর কাছে তাও বিবেচ্য নয়। ইসরায়েল ও গাজার স্বাভাবিক জীবন বিঘ্নিত করা নিয়েও তার কোনও মাথাব্যথা নেই।

সবশেষ এই উসকানিমূলক হামলা মাত্র কয়েকদিন অব্যাহত ছিল। কিন্তু যা ঘটেছে তা যদি যথেষ্ট না হয়, যদি সংখ্যালঘু সরকার গঠন ঠেকাতে নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় তাহলে কী ঘটবে?

দৃশ্যত নেতানিয়াহু ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নন। সাফল্য অনিশ্চিত এবং সামনে যে পথ রয়েছে তাও বিপজ্জনক। সূত্র: মিডল ইস্ট আই।

 

/এএ/বিএ/
সম্পর্কিত
রাজনীতিকদের বিরোধে ক্ষোভ বাড়ছে ইসরায়েলি সেনাদের
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭
যুদ্ধবিরতির আলোচনা: উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনিদের ফিরতে দেবে ইসরায়েল
সর্বশেষ খবর
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জেনোসাইড কর্নার’ বন্ধ থাকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসন্তোষ
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জেনোসাইড কর্নার’ বন্ধ থাকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসন্তোষ
ইতিহাস বিকৃত করে বিএনপি সফল হয়নি, এখন আবোল-তাবোল বলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইতিহাস বিকৃত করে বিএনপি সফল হয়নি, এখন আবোল-তাবোল বলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শাহীনকে সরিয়ে বাবরকে নেতৃত্বে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে পিসিবি!
শাহীনকে সরিয়ে বাবরকে নেতৃত্বে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে পিসিবি!
মেঘলা আকাশ থেকে ঝরতে পারে বৃষ্টি, বাড়বে গরম
মেঘলা আকাশ থেকে ঝরতে পারে বৃষ্টি, বাড়বে গরম
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়