চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করলো পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, সোমবার তারা সফলভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা করেছে। শাহিন-১ নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত আনতে সক্ষম বলে জানায় তারা।
এর আগে ৭ নভেম্বর কাশ্মির নিয়ে ভারতের সঙ্গে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই ‘জবর’ নামে ভূমি থেকে সাগরে নিক্ষেপযোগ্য একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। একদিন পরই ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) ভারত ‘কে-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দেয়। এই পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রটি জলের তলায় একটি সাবমেরিন থেকে ছোড়া হবে। এর রেঞ্জ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার।
সোমবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, শাহিন-১ ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত আনতে সক্ষম। এই পরীক্ষার ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা।
এই নিয়ে চলতি বছর চারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো পাকিস্তান। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানই বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দেশটির নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানোর বদলে ক্ষুদ্রপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে পাকিস্তান। এ জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র খুব নিচু দিয়ে উড়ে যায় বলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইমরান খানের সরকার ক্ষমতায় আসার পর নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের ওপর জোর দিচ্ছে।