ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিরোধের জেরে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে প্রায় তিরিশ বছরের জোট ছিন্ন করেছে শিবসেনা। এরপর আদর্শের বিপরীত মেরুতে অবস্থান করা এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার করতে যাচ্ছে উদ্ধব থ্যাকারের দল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শিবসেনা বিধায়কদের দলে ভেড়াতে পারে বিজেপি। এমন প্রবণতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন দলটির নেতা আবদুল সাত্তার। তিনি বলেছেন, দলের কোনও বিধায়ককে টাকা দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে দল ভাঙতে আসলে তার মাথা ফাটিয়ে ও পা ভেঙে দেবেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম এএনআই’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই শারীরিক হামলার হুমকি দেন তিনি।
ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর শিবসেনা জোট করেছে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নে অনড় রয়েছে তারা। তবে তাদের আশঙ্কা শিবসেনার শিবিরের ঐক্য নিয়ে। এই সমস্যা নিরসনের জন্যই আইন নিজের হাতে নিতে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানালেন সিলড বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচিত বিধায়ক সাত্তার। কাউকে যে শিবসেনা বিধায়কদের আশেপাশে আসতে দেবেন না, তা স্পষ্ট করেছেন তিনি।
শিবসেনা বিধায়ক আব্দুল সাত্তার বলেছেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের আগে কেউ দল ভাঙাতে এলে তাদের মাথা গুঁড়িয়ে দিতে বা পা ভেঙে দিতে তিনি পিছপা হবেন না।
শিবসেনার আরেক নেতা একনাথ শিন্ডে দলে বিদ্রোহের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খবরে আসছে শিবসেনা বিধায়করা (নতুন জোট গঠন নিয়ে) অখুশি, যা ভিত্তিহীন। শিবসেনারা দলের প্রতি অনুগত, কোনও বিক্ষোভ নেই দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে, বিশ্বাস আছে কেন্দ্রীয় নেতা উদ্ধবের প্রতি।’
তবে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না শিবসেনা। শেষ সময়ে কোনও ধরনের বিপদের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিধায়কদের রাজস্থানে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির নেতা উদ্ধব।