X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া

বিদেশ ডেস্ক
২৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:২৫আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:৩১
image

উত্তর কোরিয়া আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ থেকে সাগরে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। জাপান সাগরে দুইটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রায় এক মাস পর এই পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া

গত বছর পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ এবং আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না চালানোর ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয় একটি পারমাণবিক স্থাপনা। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বৈঠক কোনও চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়। কিম বাজে চুক্তির প্রস্তাব করেছেন এমন অভিযোগ করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত অক্টোবর মাসে কৌশলগত নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র পরীক্ষার কথা স্বীকার করে পিয়ংইয়ং। গত জুনে ট্রাম্প এবং উনের মধ্যে সাক্ষাতের পর জুলাইয়ের শেষদিকে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। চলতি বছরে এটি দেশটির ১৩তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইয়ংপোর ল্যাঞ্চার থেকে দুইটি প্রোজেক্টইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৯৭ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে ৩৮০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুধু জাপানের নয়, এই অঞ্চলের সবার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। টোকিওর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র তাদের আকাশসীমা কিংবা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জলসীমায় পড়েনি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তর কোরিয়া নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট উৎক্ষেপণের সফল পরীক্ষা চালিয়ে আসছে। এর ফলে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে আতঙ্ক বাড়ছে।

/এইচকে/
সম্পর্কিত
দালাই লামার উত্তরসূরি, চীন-ভারত সংঘাত আর একটি সোনার কৌটো
ভারতে চালু হতে চলেছে মোবাইল ভোটিং 
এক সপ্তাহে দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পেলো থাইল্যান্ড
সর্বশেষ খবর
এশিয়ান কাপে ওঠার অনুভূতি বলে প্রকাশ করতে পারছেন না ঋতুপর্ণা
এশিয়ান কাপে ওঠার অনুভূতি বলে প্রকাশ করতে পারছেন না ঋতুপর্ণা
সরকারের জাতীয় ঐকমত্যের উদ্যোগে বাধা একটি দল: জামায়াত সেক্রেটারি
সরকারের জাতীয় ঐকমত্যের উদ্যোগে বাধা একটি দল: জামায়াত সেক্রেটারি
বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি: নাহিদ ইসলাম
বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি: নাহিদ ইসলাম
কাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে নিজেই অপসারিত শাহীন!
কাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে নিজেই অপসারিত শাহীন!
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা