X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের প্রস্তাবে রোহিঙ্গাবিরোধী ঘৃণা ঠেকানোর আহ্বান

বিদেশ ডেস্ক
২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:০৬আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:৪৮

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোয় উস্কানি বন্ধ করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার গৃহীত ওই প্রস্তাবে গত চার দশকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর নিপীড়নের মুখে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নতুন এই প্রস্তাবকে মানবাধিকার নৈতিকতার বৈষম্যমূলক ব্যবহারের আরেকটি উদাহরণ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত। জাতিসংঘের প্রস্তাবে রোহিঙ্গাবিরোধী ঘৃণা ঠেকানোর আহ্বান

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকার করে না মিয়ানমার। তাদের ‘বাঙালি মুসলমান’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের বাসিন্দা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় নেপিদো। ১৯৮২ সালে তৎকালীন সামরিক জান্তা সরকার নৃগোষ্ঠীভিত্তিক নতুন নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করে। বিতর্কিত ওই বর্ণবাদী নাগরিকত্ব আইনে মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়। এছাড়া সেখানে যুগের পর যুগ ধরে বিদ্বেষী প্রচারণা চালিয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

সেনা চৌকিতে হামলার জেরে ২০১‌৭ সালের ডিসেম্বরে রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। ওই ঘটনায় চলতি মাসে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগের শুনানিতে অংশ নিয়েছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি।

রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবটি শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় অনুমোদন পেয়েছে। ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৩৪টি দেশই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৯টি। এছাড়া ২৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।  জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত কোনও প্রস্তাব মানার আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোভাব প্রতিফলিত হয়।

গৃহীত প্রস্তাবে রাখাইনের ঘটনায় গঠিত আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা ও অন্য সংখ্যালঘুরা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে। এসব গোষ্ঠীকে রক্ষায় নেপিদোকে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদও দেওয়া হয়েছে ওই প্রস্তাবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব ঘটনায় বিচার নিশ্চিত করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব মিয়ানমারের ওপর অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক চাপ বাড়াবে বলে মনে করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত হাও দো সুয়ান। তিনি বলেন, এই প্রস্তাবে রাখাইনের জটিল পরিস্থিতির সমাধান খোঁজার কোনও ইঙ্গিত নেই।

/জেজে/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা