ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে চেন্নাই শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ে। বন্যার কবলে উপদ্রুত এলাকায় ট্রেন ও বিমান চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। পানি না নামা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শহরের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
দুইদিনের বর্ষণে চেন্নাইয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। আটকাপড়াদের উদ্ধারে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসকিউ ফোর্সের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
চেন্নাইয়ের পুলিশপ্রধান জেকে ত্রিপাঠী বলেন, ‘উদ্ধার অভিযানে অন্তত ১০ হাজার পুলিশ সদস্য ও সাঁতারু মোতায়েন করা হয়েছে।’
ত্রিপাঠী আরও বলেন, ‘পুলিশ উপদ্রুত মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেখানে কোনও নৌকা নেই। আমরা চেষ্টা করছি যেন লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায়।’
এদিকে, ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আগামী তিন দিনও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেন্নাই বিমানবন্দরে বন্যার পানি প্রবেশ করে। এরপর এই বিমানবন্দর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিমান চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করায় বিপাকে পড়েছেন প্রায় ৪০০ যাত্রী।
বন্যার কারণে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে রেল চলাচল। চেন্নাই থেকে বিভিন্ন গন্তব্য অভিমুখে এক ডজনেরও বেশি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
চেন্নাই শহরের বেশিরভাগ প্রধান সড়ক তলিয়ে গেছে। গত ১৭ দিন ধরে সব স্কুল বন্ধ রয়েছে। তাম্বারাম এলাকায় একটি সরকারি হাসপাতালে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সেখান থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।