পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাস মজুতের মালিকানা নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকার মধ্যেই পাল্টাপাল্টি সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক ও গ্রিস। গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের অদূরবর্তী সাগরে নৌমহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশ দুটি। তুরস্কের পক্ষ থেকে তাদের গবেষণা জাহাজের অভিযান এলাকা বাড়ানোর দাবি করে ওই এলাকা থেকে অন্য জাহাজকে সরে যেতে বলা হয়েছে। এরপরই নৌ মহড়ার ঘোষণা দেয় গ্রিস। উত্তেজনা নিরসনে মঙ্গলবার এথেন্স ও আঙ্কারায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাসকে পাঠাচ্ছে জার্মানি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দুই দেশ তুরস্ক ও গ্রিস। গ্রিস আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও (ইইউ) সদস্য। ক্রিট ও সাইপ্রাস দ্বীপের মধ্যবর্তী বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে তুরস্ক ও গ্রিস। এই বিরোধ নিরসনে দেশ দুটিকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে ইইউ। তবে ইইউর আরেক প্রভাবশালী সদস্য ফ্রান্স এথেন্সের পক্ষ নিয়ে সম্প্রতি একটি যৌথ নৌ-মহড়ায়ও অংশ নিয়েছে।
সোমবার এক ঘোষণায় তুরস্ক জানিয়েছে, বিতর্কিত ওই সমুদ্রসীমায় গবেষণা জাহাজ অরুচ রেইসের অনুসন্ধানের সময় ২৭ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই অনুসন্ধানকে বেআইনি বলে বিবেচনা করা গ্রিস এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই অঞ্চলে নৌ-মহড়া চালানোর ঘোষণা দেয়। গ্রিস সরকারের মুখপাত্র স্টেলিওস পেটসাস জানিয়েছেন, সব ধরনের প্রস্তুতিসহ এখন পর্যন্ত এথেন্স শান্তভাবে সাড়া দিচ্ছে। তবে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে পারবে এমন আত্মবিশ্বাসও গ্রিসের আছে বলে জানান তিনি।
উত্তেজনা নিরসনে আঙ্কারায় পৌঁছে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করবেন। পরে একই দিন তিনি গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিশের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।