পাঞ্জাবের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলার মূল হোতা জয়েশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার পাকিস্তানে গ্রেফতার হয়েছেন। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র এক খবরে এ দাবি করা হয়েছে। তবে মাসুদ আজহারকে গ্রেফতারের বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের বেশ কজন নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাসুদ আজহারও থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নির্ধারিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের দুইদিন আগে তদন্তে অগ্রগতি ও সন্দেহভাজনদের আটকের খবর জানানো হলো।
জিও নিউজের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, জয়েশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে গ্রেফতার হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে আরও জানায়, আজহার ও তার ভাই আবদুল রউফ ও শ্যালক আশফাক আহমেদকে পাঠানকোট হামলার বিষয়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
২ জানুয়ারি পাঞ্জাবের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে মূল হোতা হিসেবে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
জিও নিউজের হামিদ মির জানিয়েছেন, ‘মাসুদ আজহারকে প্রটেক্টিভ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের সূত্র বলছে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
#PathankotAttack mastermind Maulana Masood Azhar detained in Pakistan #ITVideo https://t.co/QA2iuIM9lr
— India Today (@IndiaToday) January 13, 2016
তবে এ বিষয়ে পাকিস্তান ও ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেছেন, ‘মাসুদ আজহারকে আটকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।’
পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জয়েশ-ই-মোহাম্মদের বেশ কজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সংগঠনের কার্যালয় খুঁজে পাওয়া গেছে এবং তা সিল গালা করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে।
গত ২ জানুয়ারি দিনগত রাতে পাঠানকোটের বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ওই ঘটনায় ৬ হামলাকারী আর নিরাপত্তা বাহিনীর ৭ সদস্য নিহত হন। ঘটনার পর থেকেই হামলার পেছনে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদকেই দায়ী করে আসছে ভারত। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন অবস্থায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নির্ধারিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, বিবিসি।
/এএ/