সাত বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার সোলো শহরে নিরবে এক ইন্টারনেট ক্যাফে চালাতেন বাহরুন নাইম। বৃহস্পতিবার রাজধানী জাকার্তায় সংঘটিত এক সন্ত্রাসী হামলার মুল হোতা হিসেবে তাকেই শনাক্ত করেছে জাকার্তা পুলিশ।
এর আগে ২০১১ সালে একবার গ্রেফতার হন নাইম। অবৈধ অস্ত্র রাখার কারণে তাকে তিন বছর কারাভোগও করতে হয়। পুলিশের দাবি, এর পর থেকেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, এক বছর আগে নাইম সিরিয়ায় গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের হামলার সকল কিছু তিনিই সমন্বয় করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। কেননা নাইম নিজেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত নভেম্বরে প্যারিসে হামলার পর নাইম তার ব্লগপোস্টে লিখেছিলেন, ইন্দোনেশিয়ায় আরও সহজে এ ধরনের হামলা চালানো সম্ভব।
এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ‘সঠিক সময়ে’র জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবারের হামলার পর সে সম্পর্কে তার কাছ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্র জানায়, এর আগে জাভা দ্বীপ থেকে বোমা তৈরির উপকরণ, আত্মঘাতী হামলার সরঞ্জাম এবং জিহাদি বইপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষকে সামনে রেখে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো জঙ্গিরা। সেই প্রস্তুতিতেও নাইমের ভূমিকা ছিল বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা।
জাকার্তার পুলিশ প্রধান টিটো কারনাভিয়ান বলেন, ‘নাইম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইএসের প্রধান নেতা হিসেবে কাজ করছেন।’
তিনি আরও জানান, নাইম বিশ্বাস করেন ইন্দোনেশিয়া একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ, এই দেশ পুরোপুরি ইসলামি শাসনেই পরিচালিত হওয়া উচিত। সূত্র: রয়টার্স
/ইউআর/বিএ/