এবার আয়ারল্যান্ডের দুই প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের শরীরে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত করলেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। আর এ নিয়ে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হলেন দেশটিতে।
আয়ারল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা নির্বাহী দফতরের তরফে জানানো হয়, জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দুজন একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত নন এবং দুজনই এখন সুস্থ আছেন। তবে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দুই নাগরিকই জিকাপ্রবণ এলাকায় ভ্রমণ করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্যসেবা দফতর।
স্বাস্থ্যসেবা নির্বাহী দফতরের মুখপাত্র জানান, আক্রান্তদের কারোরই গর্ভধারণের ঝুঁকি নেই। জিকা প্রবণ দেশগুলোতে ভ্রমণের কারণে ইউরোপীয় অনেক দেশেই যখন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে সেক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডে জিকা শনাক্ত হওয়া ‘অপ্রত্যাশিত ঘটনা’ নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জিকাপ্রবণ দেশগুলো ভ্রমণের দুই সপ্তাহের মধ্যে আইরিশ নাগরিকদের কেউ অসুস্থ হলে মেডিকেল সহায়তা নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
এদিকে সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে জিকার ভাইরাস ছড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রে ‘যৌন সংসর্গের’ মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসে জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত একজন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, সম্ভবত যৌন সংসর্গের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তি জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন কোনো স্থানে ভ্রমণ করেননি। কিন্তু যার সঙ্গে তার যৌন সংসর্গ হয়েছে তিনি ভেনেজুয়েলা ভ্রমণ করে এসেছেন বলে জানা গেছে। জিকা আক্রান্ত ডালাসের ওই রোগীকে পরীক্ষার পরেই টেক্সাসের স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্র: মেইল অনলাইন, বিবিসি
/এফইউ/