আঙ্কারায় গাড়িবোমা হামলার জন্য সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদের দায়ী করেছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু। বুধবারের ওই বিস্ফোরণে নিহত হন অন্তত ২৮ জন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার তুর্কি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আহমেদ দাভুতোগলু বলেন, আঙ্কারা বিস্ফোরণে নিহত ২৮ জনের মধ্যে ২৬ জনই সেনাসদস্য। সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলারা তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশে এ হামলা চালিয়েছে। আর এ ওয়াইপিজিকে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বোমা হামলাকারী ব্যক্তির নাম সালিহ নেসার। তিনি সিরীয় নাগরিক এবং সিরিয়ান কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি)- এর সদস্য।
ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদের ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ তুরস্কের অন্যান্য মিত্র দেশগুলো আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াপিজি’ কে সমর্থন দিচ্ছে।
আহমেদ দাভুতোগলু বলেন, আঙ্কারায় বোমা হামলাই প্রমাণ করে ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। আর তাই তাদের ওপর হামলা চালানোর জন্য আঙ্কারা মিত্র দেশগুলোর সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
উল্লেখ্য, বুধবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পার্লামেন্ট ভবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৮ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৬১ জন। সেনা সদস্যদের বহনকারী একটি বাস লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য ২০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়।
হামলার পর বিভিন্ন টেলিভিশন ফুটেজে ঘটনাস্থলে একটি বাস ও আশপাশে আগুন জ্বলতে এবং কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। আইনশৃঙ্খলা-বাহিনী, দমকলসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতো ভয়াবহ ছিল যে তার শব্দ গোটা শহরেই শোনা গেছে। সূত্র: গার্ডিয়ান, আল জাজিরা।
/এমপি/