ইরাক ও সিরিয়ার দখলকৃত এলাকায় শিশু-কিশোরদের রণক্ষেত্রে ঠেলে দিচ্ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এমনকি নজিরবিহীনভাবে আত্মঘাতী হামলায়ও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন গবেষকদের এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এমন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আইএস মূলত নিজেদের অধিকৃত অঞ্চলের শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ওই সমীক্ষায় ৮৯ জন শিশু-কিশোরের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশেরই বয়স ১২ থেকে ১৬-এর মধ্যে। এ শিশু-কিশোররা ১৪টি ভিন্ন দেশের নাগরিক বলে জানা গেছে। এ গবেষণায় টুইটারসহ বিভিন্ন মিডিয়া থেকে তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত আইএসের হাতে ব্যবহৃত ১৮ বছর বয়সীদের মৃত্যুর হার দ্বিগুণ হয়েছে।
৩৯ শতাংশ ক্ষেত্রে নিহতরা গাড়ি বোমা হামলা চালানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছেন।
গবেষকরা জানান, গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিশু-কিশোরদের অন্তত তিন দফা বেশি আত্মঘাতী হামলায় যুক্ত করানো হয়েছে।
ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবাননের অংশবিশেষ নিয়ে একটি কথিত খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আইএস। ইতোমধ্যে তারা ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নিয়েছে। আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি নিজেকে তাদের অধিকৃত অঞ্চলের ‘খলিফা’ ঘোষণা করেছেন। ২০১৪ সালের ১০ জুন ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখল করে নেয় আইএস। এরপর ২৯ জুন ইরাকে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় তারা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
/এমপি/