যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে সন্দেহভাজন ব্যাংক ম্যানেজার মাইয়া সান্তোস দিগুইতোর আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, ঘটনার তদন্তে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) সঙ্গে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) যোগসাজশ রয়েছে। কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাকে বাঁচাতে বিষয়টিকে ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দিগুইতোর আইনজীবী ফার্দিনান্দ তোপাসিও বলেন, ‘এখানে এক ষড়যন্ত্র চলছে। বিত্তশালী, শক্তিশালী এবং যাদের বড় বড় যোগাযোগ আছে, তারা এর সাথে জড়িত। তবে আমরা মনে করি সিনেট কমিটি সঠিক তদন্ত করতে সক্ষম হবে।’
তিনি জানান, তার মক্কেলের আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার রয়েছে। ‘সিনেটের তদন্ত কমিটি তাকে শুনানির জন্য ডাকার পর দিগুইতো সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকতে সচেষ্ট ছিলেন। ওই সময়ের পূর্বেই দেশে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি সহকারে তিনি ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে যেতে চাইলে, এএমএলসি তড়িঘড়ি করে তার নামে বিচার বিভাগে মামলা দায়ের করে। আর আরসিবিসি তাকে সংবাদমাধ্যমে অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরে।’ তিনি বলেন, ‘হয় এএমএলসি নিজের কাজ করতে জানে না, অথবা সংস্থাটি বিশেষ কোনও মহলকে বিচারের হাত থেকে বাঁচাতে চাইছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে তাকে (দিগুইতো) সাত থেকে চৌদ্দ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, সেখানে তাকে নিজের পক্ষে সাফাই দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকারও রয়েছে। এজন্য আমরা সিনেট তদন্ত কমিটির কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন ওই তদন্ত থেকে এএমএলসি প্রতিনিধিদের বাদ দেন। কারণ আমাদের মক্কেলকে তারাই ফাঁসাচ্ছে।’
তোপাসিও অভিযোগ করেন, আরসিবিসি হেড অফিস কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে বিষয়টিকে ধামা-চাপা দিতে চাইছে। আরসিবিসি-র অভ্যন্তরীণ তদন্তের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এখানে ন্যায় বিচার সম্ভব নয়। আরসিবিসি-তে কেবল মাত্র আমার মক্কেলকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।’