তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় রবিবারের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা সংগঠন টিএকে। অনলাইনে দেয়া এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কুর্দি অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর অভিযানের প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। টিএকে এর আগে জানিয়েছিল যে, তারা গত মাসে আঙ্কারায় আরেকটি হামলা চালিয়েছে।
তুরস্কের পক্ষ থেকে সর্বশেষ এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে আরেক কুর্দি সংগঠন পিকেকে’কে দায়ী করা হয়েছিল। এ সংগঠনটিও তুরস্কসহ ইউরোপের একাধিক দেশে নিষিদ্ধ।
১৩ মার্চ ২০১৬ রবিবার সন্ধ্যায় তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার যোগাযোগ কেন্দ্র ও ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা কিজিলায় জেলার গুভেন পার্ক এলাকায় শক্তিশালী ওই গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ৩৭ জন নিহত ছাড়াও আহত হন শতাধিক মানুষ। বিস্ফোরণে আহত অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গগনবিদারি ওই বিস্ফোরণের পরপরই গুভেন পার্ক এলাকায় বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়। একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের পরপরই গুলির শব্দ শোনা গেছে। হামলার পরপরই তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু তার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। এছাড়া তিনি তার পূর্বনির্ধারিত জর্ডান সফর স্থগিত করেছেন। হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো।
হামলার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা বেসামরিক লোকজনকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে। কারণ, তারা তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে চরমভাবে পরাজিত হচ্ছে।’ এ সময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।