এর আগে ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে লুলা দা সিলভাকে দুর্নীতির দায়ে আটক করে পুলিশ। পেট্রোবাসের বিশাল অঙ্কের ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তাকে আটক করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হলেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ব্রাজিলে গত কয়েক বছর ধরে পেট্রোব্রাসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং-এর অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ।
গত ৯ মার্চ লুলার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ গঠন করেন সাও পাওলোর প্রসিকিউটররা। পরদিন, ১০ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে তার গ্রেফতার দাবি করেন তারা। অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লুলাকে ‘আইনি হেফাজতে’ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা লুলা দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শেষে ২০১১ সালে নিজ দলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিলমা রুসেফ-এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। তার শাসনামলে দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় এবং লাখ লাখ মানুষ দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মুক্তি পান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পেট্রোব্রাস দুর্নীতিতে তার জড়িত থাকার গুঞ্জন ওঠার পর লুলার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। তবে লুলা এবং তার সমর্থকরা এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন।
/এসএ/